এনআইটির ক্যান্টিন কর্মীদের ছাঁটাই , কর্মীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই

তুহিন কাশ্যপ, দুর্গাপুর : দুর্গাপুরের ন্যাশন্যল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ক্যান্টিন কর্মীদের ছাঁটাই এর প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হলেন দুর্গাপুর পশ্চিম বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই। ছাঁটাই কর্মীদের এন আই টিতে কাজে পুনর্বহল করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটার হুঁশিয়ারি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই। জানা গেছে ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় সংস্থা আর.ই কলেজ এনআইটি হয়। তখন হোস্টেলের ক্যান্টিনের ৩৭ জন অস্থায়ী কর্মীকে  স্থায়ীকরণ করা হয়নি। তারা মামলা করে হাইকোর্টে। এন আই টির ছাঁটাই কর্মীদের দাবি, তখন আমরা ৩৭ জন অস্থায়ী কর্মী  হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম স্থায়ীকরণ করতে।  মামলাকারী পাঁচ জন মারা গেছেন। তবে সেই মামলায় আমরা জিতেও ছিলাম। এন আই টি কর্তৃপক্ষকে  হাইকোর্টে হাজির দেওয়ার জন্য নোটিশ করেছিল হাইকোর্ট। হাজিররা দিয়ে  ২০২৪ সালে দুর্গাপুর থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে এন আই টি কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ১২ জন অস্থায়ী কর্মী কে  ছাঁটাই করে দেওয়া হয়। এবং বাকিদের ও আগামীএপ্রিল মাসে ছাঁটাই করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। তার প্রতিবাদে এন আই টির গেটে আমরা অবস্থান অনশন করছি। ভবিষ্যতে আমরা  আমরণ অনশন করতে চলেছি।এই বিষয়ে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘরুই বলেন,”এইভাবে কাউকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা যায় না। কেন ছাঁটাই করা হলো তা নিয়ে ম্যানেজমেন্টকে জিজ্ঞাসা করব। দ্রুত যদি কাজে পুনর্বহাল করা না হয় তাহলে আমি কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডক্টর সুকান্ত মজুমদারকে বিষয়টি জানাবো। তার পরেও সমস্যার সমাধান না হলে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবো। পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের সাফাই,”কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা। সেখানেই কর্মীরা সুরক্ষিত নেই। কাজ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। আবার তাদের সাথে আন্দোলন করে নাটক করছে বিজেপি বিধায়ক। আমরা ঐ ছাঁটাই কর্মীদের পাশে আছি।” অভিযোগ ভিত্তি হীন দাবি এন আই টির  ডাইরেক্টর অরবিন্দ চৌবের। তিনি বলেন,”বর্তমানে হোস্টেলের ক্যান্টিনগুলি পড়ুয়ারা চালাচ্ছে। সংস্কারের কাজ হচ্ছে বলে কিছু কিছু ক্যান্টিনে এখন বন্ধ আছে। তবে আমাদের তরফ থেকে কাউকে বের করা হয়নি।”

error: Content is protected !!