বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক সুনীল চ্যাটার্জী চলে গেলেন, দুর্গাপুরে শোকের ছায়া

গনেশ চক্রবর্তী :   দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান একনিষ্ঠ সৈনিক সুনীল চ্যাটার্জী চলে গেলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। বেশকিছু দিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন।দুর্গাপুরের কাঁকসার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।আজ শুক্রবার তাঁর মৃত্যু হয়। সুনীল বাবুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই দুর্গাপুরে শোকের ছায়া নেমে আসে। সুনীল বাবু দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন।৪ নং বরো চেয়ারম্যান ছিলেন।২০১৭ সালে তিনি পুরসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেন। তারপর তিনি ৪ নং বরো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নিজের এলাকায় সারাবছর বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির সঙ্গে সুনীল বাবু নিজেকে জড়িয়ে রাখতেন। মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক ছিল। সব থেকে উল্লেখযোগ্য হলো সুনীল চ্যাটার্জী বাম আমলে তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হয়ে সিপিএম নেতাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতাকাকে  কাঁধে নিয়েই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সিপিএমের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। এইজন্য সিপিএম নেতারা অনেক অত্যাচার পর্যন্ত করেছেন সুনীল চ্যাটার্জীর উপর।বাম আমলে দুর্গাপুরে সিপিএমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবাদ সভায়  প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন সুনীল বাবু।২০১১ তে বাম আমল পরিবর্তনের পর পরবর্তী সময়ে ভোটে দুর্গাপুর পুরসভায় তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে তৃণমূল কংগ্রেস দল ও ভোলেনি দলের একনিষ্ঠ সৈনিক সুনীল চ্যাটার্জীর লড়াই কে। দলের পুরানো এবং লড়াকু সৈনিক সুনীল বাবুকে তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস যোগ্য সন্মান দিয়ে তার এলাকা ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর করে এবং তাঁর এলাকার উন্নয়ন এবং সারাবছর সামাজিক কর্মসূচিতে যুক্ত রাখতে সুনীল বাবুকে ৪ নং বরো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব ভার দেয় তাঁর দল। দুর্গাপুর নগর নিগম সূত্রে জানা গেছে আগামীকাল শনিবার তার মরদেহ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে দুর্গাপুর নগর নিগমের সামনে আনা হবে।২৯ নং ওয়ার্ড কমিটি  সূত্রে জানা গেছে হাসপাতাল থেকে শনিবার সুনীল বাবুর মরদেহ প্রথমে দুর্গাপুর নগর নিগমে আনা হবে তারপর তার মরদেহ সুনীল বাবুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। তারপর  বীরভান মহাশ্মশানে সুনীল বাবুর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

error: Content is protected !!