শুক্রবার,২৫ শে অক্টোবর ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী, দুর্গাপুর : অনলাইনে যৌনতা দেখিয়ে মহিলাদের ব্ল্যাক মেইল করার একটি বড়সড় চক্রের পর্দা ফাঁস হলো দুর্গাপুরে। তদন্তে কাঁকসা থানার মলান দীঘি ফাঁড়ির পুলিশ বড়সড় সাফল্য পেল। জানা গেছে দুর্গাপুর শহরের বুকে বসেই ঝাড়খণ্ডের গিরিডির বাসিন্দা কুন্দন মন্ডল, হাজারিবাগের বিষ্ণু প্রসাদ এবং সিন্টুর মন্ডলের ব্যবস্থাপনায় দুর্গাপুরে বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন মহিলা পুরুষের যৌন দৃশ্য তৈরি করে তাদের পাঠিয়ে ব্ল্যাক মেইল করা হতো। পুলিশ জানায় ধৃতরা কাঁকসা থানার আড়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে একটি ভূয়ো কল সেন্টার চালাতো। ভূয়ো কলসেন্টার সামনে থাকলেও আসলে পিছনে অনলাইনে যৌনতা দেখিয়ে মহিলাদের ব্ল্যাক মেইল করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য অভিযুক্তদের। অভিযোগ এই চক্র মহিলাদের সুকৌশলে ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে ভয় দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিতো। চলতি বছরের মে মাসে এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয় কাঁকসার মলান দীঘি ফাঁড়িতে। এরপরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করতে নামে। তদন্তে গিরিডির তিন বাসিন্দা কাঁকসার আড়ার ভূয়ো কলসেন্টারের তিন কর্তা কুন্দন মন্ডল, বিষ্ণু প্রসাদ এবং সিন্টু মন্ডলের নাম উঠে আসে। অভিযোগ এই তিনজন, বিভিন্ন মহিলাকে অনলাইনের মাধ্যমে যৌনতার ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করতো।পরে লক্ষ লক্ষ টাকা দাবি করা হতো।টাকা না দিলো সেইসব ছবি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবার হুমকি দেওয়া হতো।এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের হয় চলতি বছরের মে মাসে। এরপরেই পুলিশ পর্দা ফাঁস করে। জানা গেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত তিনজন আড়ায় বাইকে করে এলে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনকে অর্থাৎ কুন্দন মন্ডল এবং বিষ্ণু প্রসাদকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রীতিমতো ফাঁদ পেতে পুলিশ আড়া থেকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের কাছ থেকে পুলিশ কয়েকটি মোবাইল, সিমকার্ড এবং এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানা গেছে।আরেক অভিযুক্ত সিনটু মন্ডল সুযোগ বুঝে পালাতে সক্ষম হয় বলে জানা গেছে।শুক্রবার মলান দীঘি ফাঁড়ির পুলিশ ধৃত দুজনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করে। আদালত ধৃতদের চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়। এই চক্রের বড় মাথাদের ধরতে পুলিশ জোর তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।