বুধবার,২১শে আগস্ট ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী,নিউজ বাংলা ডিজিটাল : ইসরোর প্রাক্তন মহাকাশ বিজ্ঞানী পদ্মভূষণ পুরস্কারপ্রাপ্ত এস নাম্বি নারায়ননকে সম্বর্ধনা দিলো দুর্গাপুরের ডাঃ বিসি রায় ইন্জিনিয়ারিং কলেজ কর্তৃপক্ষ।২০২৫ এ ডাঃ বিসি রায় ইন্জিনিয়ারিং কলেজ ২৫ বছর পূর্ন হবে। সারা বছর ধরে চলবে নানা অনুষ্ঠান,তাই বুধবার সাড়ম্বরে শুরু হয় রজত জয়ন্তীবর্ষ উৎসবের সূচনা পর্ব।বুধবার সকালে ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা হয়। মহিলা ও পুরুষ বিভাগে দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন অনেকেই। দৌড়ে সফলদের আর্থিক পুরষ্কার দেওয়া হয়। সারাদিন ধরে নানা কর্মসূচি এর পর সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের সৃজনী অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় রজত জয়ন্তী বর্ষের সূচনা পর্ব। অনুষ্ঠানে গুনীজন সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। বিশিষ্ট মানুষদের মধ্যে এদিন কলেজ কর্তৃপক্ষ সম্বর্ধনা দেন ইসরোর প্রাক্তন মহাকাশ বিজ্ঞানী এস নাম্বি নারায়নন এবং আই এস টির সভাপতি প্রতাপ সিং কাকা সাহেবকে। সন্মানিত করা হয় আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী সোমাত্মানন্দ, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে। ডাঃ বিসি রায় সোসাইটির সভাপতি ডাঃ সত্যজিৎ বসু সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁর উপর বহু সিনেমা তথ্য চিত্র হয়েছে।এদিন পড়ুয়াদের কাছে তাই মূল আকর্ষন ছিল মহাকাশ বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ননকে নিয়ে। ডাঃ বিসি রায় সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তরুণ ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষা ক্ষেত্রে ডাঃ বিসি রায় ইন্জিনিয়ারিং কলেজের বিশেষ ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। কলেজের রজত জয়ন্তী বর্ষে সারা বছর ধরে নানা কর্মসূচি করার কথা ঘোষণা করেন এদিন।মহাকাশ বিজ্ঞানী এস নাম্বি নারায়নন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তাঁর নিজের জীবনের ওঠাপড়ার নানা কাহিনী তুলে ধরেন । ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা, খেলাধুলা বা নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে এগিয়ে চলার পরামর্শ দেন এবং ছাত্রছাত্রীদের নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী হবার আহ্বান জানান এস নাম্বি নারায়নন। তিনি বলেন ভারতের উচিত নাসা বা ইউরোপয়ান দেশগুলির মতো এশিয়ান স্পেস এজেন্সি গড়ে তোলা।চিন নিয়ে তাঁর সংশয়ের কথা তিনি অকপটে স্বীকার করে বলেন এই এশিয়ান স্পেস এজেন্সিতে চিন আসবে কিনা সংশয় রয়েছে। তবে না এলেই অনেক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।তবে জাপান, মালোয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা মতো উপসাগরীয় দেশ গুলিকে নিয়ে এশিয়ান স্পেস এজেন্সি গড়া যেতে পারে।যোগ্যতা অনুযায়ী ভারতকেই এর নেতৃত্ব দিতে হবে।আই এসটির সভাপতি কাকা সাহেব বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন দেশের মাত্র ৭শতাংশ ইন্জিনিয়ারিং পড়ুয়া ইন্জিনিয়ারিং কাজে যুক্ত।৮৩ শতাংশ অন্য কাজে যুক্ত। নিশ্চিত চাকরি কথা ভেবে ই ইন্জিনিয়ারিং পড়ছেন পড়ুয়ারা।কাকা সাহেব বলেন ইন্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের এই মানসিকতা বদলাতে হবে। ইন্জিনিয়ারিং এ গবেষণা এবং উদ্ভাবনের দিকে মন না দিলে ইন্জিনিয়ারিং এর ক্ষেত্রে অগ্রগতি হবে কী করে !