বৃহস্পতিবার,৪ ই জুলাই ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : একসময় যে পার্থেনিয়াম গাছের উৎস মেক্সিকো , দক্ষিণ মধ্য আমেরিকা এবং ক্যারিবীয় অঞ্চল থেকে ।গমের বীজের সঙ্গে এই দেশে এসে আজ সেই পার্থেনিয়াম হু হু বেড়ে চলছে এই দেশের আনাচে কানাচে।জানা গেছে পরাগ রেনুতেই দ্রুত এই গাছের বংশবৃদ্ধি হয়। এই গাছ অ্যালিলোপ্যাথিক উৎপাদন করে অ্যালার্জেন ছড়ায় যা মানুষ পশুপাখি এবং চারন ভুমি কে প্রভাবিত করে।এই বিষাক্ত গাছ সারা বাংলা ছাড়িয়ে এখন আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় এসে হাজির। ভারত বর্ষে প্রথম এই গাছ দেখা যায় পুনেতে ১৯৫৫ সালে বলে জানা যায়। বিদেশ থেকে গম আমদানির সঙ্গে সঙ্গে গমের সঙ্গে মিশে থাকা এই বিষাক্ত গাছের বীজের ও সবার অলক্ষ্যে আমদানি হয়েছে দাবি বিশেষজ্ঞ দের।বিশেষ করে আগে রেললাইনের ধারে এই গাছ দেখা যেত বেশি।এখন সর্বত্র তারপর দেখা যায়। হুহু করে বেড়ে চলেছে এই গাছের বৃদ্ধি। যেকোন পরিস্থিতিতে এই গাছ বেঁচে থাকতে পারে।সারা দেশের আনাচে কানাচে ভরে গেছে জীবন দুঃসহ করা বিষাক্ত পার্থেনিয়াম গাছে । রাস্তার দুধারে এই গাছের বাড়বাড়ন্ত বেশি দেখা যায়। ফলে শ্বাস কষ্ট জনিত সমস্যা,চর্ম রোগের প্রকোপ বাড়ছে দুর্গাপুরে। স্থানীয় মানুষের দাবি এই গাছে সাদা সাদা মনোরম ফুল এলে সেই এলাকায় শ্বাস কষ্টের প্রকোপ বাড়ছে বলে দাবি অনেকের।বিশেষজ্ঞরা এই গাছ নিয়ে অনেকদিন আগে ই সতর্কবার্তা দিয়েছেন। কিন্তু যাদের এই গাছ নির্মূল করার গুরু দায়িত্ব রয়েছে তাদের কোন হুঁশ নেই। দুর্গাপুর নগর নিগম এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতায় দুর্গাপুরে হু হু করে বংশবৃদ্ধি করে চলছে এই গাছটি।মাঝে মধ্যে দুর্গাপুর নগর নিগম এবং দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই গাছ কাটতে দেখা গেলেও তার পুড়িয়ে একদম নির্মূল করার সেভাবে উদ্যোগ দেখা যায় না বলেই দাবি দুর্গাপুরে বাসিন্দাদের।ফলে ফের বাড়তে থাকে দানব গাছটি।বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের কংগ্রেস দলের এক প্রতিনিধি দল দুর্গাপুর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখার্জির সঙ্গে দেখা করে অবিলম্বে দুর্গাপুরের পার্থেনিয়াম কাছে নির্মূল করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার অনুরোধ করেন। জানা গেছে দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখার্জি কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি দলকে খুব সত্তর দুর্গাপুর নগর নিগম এলাকার পার্থেনিয়াম গাছ নির্মূল করার জন্য প্রয়োজনে পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন।