শুক্রবার,২১শে জুন ২০২৪
ব্যুরো নিউজ, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : সন্দেশ খালির ছায়া দুর্গাপুরে ! স্বামীর কাজ ফেরাতে স্ত্রীকে নেতাদের সঙ্গে রাত কাটানোর কুপ্রস্তাব।এই ঘটনায় দুর্গাপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ।স্বামী স্পঞ্জ আইরন কারখানার ঠিকেদার। অভিযোগ জনা চল্লিশের তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা কর্মী পাড়ার উন্নতির জন্য কাজ করে। দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালন।এই নীতিতে পাড়ার ভালো সব কাজ করে। ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে বেআইনি মদ বিক্রির বিরুদ্ধে সরব হয়।এই টিমের নেতৃত্বে ছিলেন রিঙ্কু অঙ্কুর। অভিযোগ পাড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস কয়েকজন নেতাকর্মী পাড়ায় মদের দোকান চালায়। এই মহিলারা সেই মদের দোকান বন্ধ করে দেবার জন্য সরব হন।এতেও বিপত্তি হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের রোষানলে পড়ে যান মহিলা টিমের হেড রিঙ্কু অঙ্কুর। রিঙ্কুকে টাইট দিতে রিঙ্কু র স্বামীর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের হাতে পায়ে ধরেও স্বামীর কাজ ফেরাতে পারে স্ত্রী রিঙ্কু। অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা স্ত্রী রিঙ্কু কে কুপ্রস্তাব দেয় আমাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে তবেই স্বামী তার ঠিকেদারির কাজ ফিরে পেতে পারে। স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই সব কথা বলেও কোন সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেন রিঙ্কুর সহকর্মী ও বন্ধুরা। এরপরেই লাগাতার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। একদিকে ভয় অন্যদিকে আত্মসন্মান।উভয় বাঁচাতে শেষমেশ স্ত্রী রিঙ্কু সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দুর্গাপুরের ২৩ নং ওয়ার্ডের ঘটনা।দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার নবীন পল্লী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। জানা গেছে ইন্দো আমেরিকান মোড়ের এক স্পঞ্জ আইরন কারখানার ঠিকেদার বাপি অঙ্কুর । বাপির স্ত্রী রিঙ্কুরা তার পাড়া নবীন পল্লী এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুকুমার বাউরি, বিল্লি এবং বিশু নেতার অবৈধ মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার জন্য প্রতিবাদ করেন। এরপরেই সুকুমার , বিল্লি এবং বিশুর রোষানলে পড়ে বাপি অঙ্কুরকে ঠিকাদারি বন্ধ করে দেওয়া হয়। রিঙ্কু এই নেতাদের হাতেপায়ে ধরেও স্বামীর কাজ ফিরে পাননি। হয় ক্ষমা চাইতে হবে নাহয় রাত কাটাতে হবে।এরপরেই রিঙ্কুকে রাত কাটানোর কুপ্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই আত্মসন্মান বাঁচাতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।আহত রিঙ্কু কে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুকুমার বিল্লি এবং বিশুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। রিঙ্কু র বন্ধু অপর্না বাউরি এবং রিংকুর মামা বিজু দত্ত বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ভোটে খুব খেটেছি আমরা।মদের দোকান বন্ধ করে দেবার সরব হতেই নেতারা রেগে গেল। দেবব্রত সাঁই কে বলেছিলাম। দেবব্রত সাঁই বলেন সামনে পৌরসভার ভোট।তাই ওদের ঘাটাবো না।দেবু সাঁই কিছু করলো না। উল্টে ক্ষমা চাইতে চাপ দিলো লোক দিয়ে। যদিও অভিযুক্ত সুকুমার বিল্লি বিশুর কোন বক্তব্য পাওয়া ও যায়নি।এই ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পাড়ার সকলেই। দোষীদের চরম শাস্তির দাবি জানান।২৩ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবব্রত সাঁই বলেন এটা কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয়। আত্মহত্যার চেষ্টার খবর এই শুনছি আপনার মুখে।এটা পাড়ার নিজেদের মধ্যে ঝামেলা। আমি প্রাক্তন কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে দুই পক্ষকে আমার অফিসে ডেকে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম এক পক্ষ এলেও আরেক পক্ষ আসেনি। তবে এতোবড় ঘটনার কথা আমার জানা ছিল না ।হয়তো আমার দূরদৃষ্টিতার অভাব ছিল সেদিন। দুর্গাপুর পশ্চিম বিধান সভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই বলেন এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের কালচার। সন্দেশ খালি এখন সারা বাঙলাতেই ঘটছে।লক্ষন ঘড়ুই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন মহিলারা কিছু ঘটে গেলে বিজেপি ছেড়ে কথা বলে না।