সোমবার,১০ ই জুন ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী,নিউজ বাংলা ডিজিটাল : দুর্গাপুরে গত কয়েক মাস ধরে একের পর এক সোনার হার ছিনতাই এর ঘটনা বেড়েই চলছিল। দিশেহারা পুলিশ।তাই গোটা দুর্গাপুর জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের বিভিন্ন এলাকায় সাত সকালে এবং শুনশান দুপুরে হার ছিনতাই এর ঘটনা ঘটছিল বেশি।আর ছিনতাই বাজদের নিশানায় ছিল যুবতী এবং বৃদ্ধারা। অভিযোগ পেলেও দুষ্কৃতিদের ধরতে হিমশিম খেতে হচ্ছিল দুর্গাপুর থানার পুলিশকে। সিসিটিভি ফুটেজ আর বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং করেও কেউই পড়েনি ধরেনি। সুকৌশলে অপকর্ম করে দুর্গাপুর ছেড়ে বেরিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। দুর্গাপুর থানার পুলিশের কপালে ভাঁজ পড়ে দুষ্কৃতিদের ধরতে। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পায় ঝাড়খণ্ডের একটি চক্র কাজ করছিল বেশকিছুদিন ধরে। সোনার চেন ছিনতাইয়ের মাস্টারমাইন্ড ইনসাফ আনসারির নাম পুলিশ জানতে পারে। পুলিশ জানতে পারে ঝাড়খণ্ডের একাধিক থানায় অপরাধ মূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে ইনসাফের নামে। রবিবার রাতে ঝাড়খন্ড পুলিশের সহযোগিতায় ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে ইনসাফ আনসারীকে গ্রেপ্তার করে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। সোমবার পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃতকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৮দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। দুর্গাপুর থানার পুলিশ ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।এই চক্রের পিছনে কতজন রয়েছে এবং চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধারের পুলিশ জোর তৎপরতা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।