মঙ্গলবার,১৪ ই মে ২০২৪সো
সোমনাথ মুখার্জি, অন্ডাল :- লক্ষীর ভাণ্ডারে টাকা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘিরে ওই এলাকার মহিলারা অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন, শেষমেষ বেগতিক বুঝে সকলের সামনে ক্ষমা চান ঐ নেতা বলে খবর।মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল থানার ধান্ডারডিহি গ্রামের বাউরি পাড়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর নাম গৌতম গোড়াই বলে জানা গেছে । স্থানীয় সূত্রে খবর গতকাল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে ভোট পর্ব শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে ধান্ডারডিহি গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত গৌতম গড়াই এলাকার বাউড়িপাড়ার মহিলাদের লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন। তিনি মহিলাদের নাকি বলেন কে কাকে ভোট দিয়েছে তা তার জানা আছে,তাই যারা তৃণমূল ছাড়া অন্য দলকে ভোট দিয়েছে তাদের সবার লক্ষীর ভান্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপরই বাউড়ি পাড়ার সমস্ত মহিলা ও পুরুষ মিলে অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়।ঘটনার খবর দেওয়া হয় অন্ডাল থানায়।
স্থানীয় বাসিন্দা তথা বিক্ষোভকারী রেখা বাউরী ও পরান বাউরীরা জানান, তাদের এলাকার তৃণমূল নেতা বলে পরিচিত গৌতম গড়াই মঙ্গলবার সকালে পাড়ার মহিলাদের লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়, তৃণমূল নেতার মুখে একথা কথা শুনেই ক্ষেপে যান বাউরি পাড়ার মহিলারা। পাড়ার মহিলাদের দাবি তারা কাকে ভোট দিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ গোপন ব্যাপার। তাহলে তৃণমূল নেতা কিভাবে বলছে যে তারা তৃণমূল ছেড়ে অন্য কাউকে ভোট দিয়েছে? জড়িয়ে পড়ার বাউরী পাড়ার মহিলা ও পুরুষদের একাংশের দাবি তারা তৃণমূল দলের সঙ্গেই আছেন। পড়ার লোকেদের দাবি অবিলম্বে গৌতম গড়াই কে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে এই পাড়ায় ঢুকতে দেওয়া যাবে না। ঘটনা ঘিরে বেশ উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকায়। এ প্রসঙ্গে ধান্ডারডিহি এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি অজয় পাত্র বলেন, যেখানে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন সমস্ত সরকারি প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষ দল মত নির্বিশেষে পাবেন। সেখানে যদি কেউ এরকম বলে থাকেন তাহলে তৃণমূলের বক্তব্য নয়। এর পিছনে বিরোধীদের একটা চক্রান্ত রয়েছে।