বুধবার,২৪ শে এপ্রিল ২০১৪
নীলাঞ্জনা চক্রবর্তী, দুর্গাপুর : ভোট বড় বালাই। রাজনীতিতে দুই জন পরস্পর বিরোধী । যুযুধান প্রতিপক্ষ। বুধবার সৌজন্যের খাতিরে একে অপরে দলীয় কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে সৌজন্যের রাজনীতি করলেন। একজন বিধায়ক, পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, পাণ্ডবেশ্বর ভূমিপুত্র বিধায়ক,তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য শাসকদলের দাপুটে নেতা নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। অপরজন মোদী ঘনিষ্ঠ বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দুই দুবারের বিজেপি সাংসদ পোড় খাওয়া বিজেপি নেতা দক্ষ আইনজীবী আসানসোলের ভূমি পুত্র সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া।এই লোকসভা নির্বাচনে দুই নেতার চরম অগ্নিপরীক্ষা। দুজনের ভবিষ্যত নির্ভর করেছে লোকসভা নির্বাচনের ভালো ফলের উপর। বুধবার আসানসোল লোকসভা আসনের অন্তর্ভুক্ত পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার জেমায়া গ্রামে বিজেপি কার্যকর্তার বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।তার আগে তার স্ত্রী কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা সম্বলিত একটি শাড়ি উপহার দেন। অপরদিকে আসানসোল লোকসভা আসনে অন্ডালের খান্দরা তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে প্রচারে এসে বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে পুরানো দিনের গল্প গুজব করে চা পান করেন।বেশ খানিকক্ষন বসে থাকেন সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। পরস্পর বিরোধী দুই দলের পোড় খাওয়া নেতদের এহেন সৌজন্যের রাজনীতি দেখে হতবাক দুই দলের ভোটাররা।এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া উভয়েই বলেন এইসবের সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।একে অপরের দলের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। সৌজন্যের খাতিরে আমরা অপর দলের কর্মীদের কাছে যেতেই পারি। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন আমি প্রথমে একজন বিধায়ক আমার কেন্দ্রে উনি বিজেপি করলেও একসময় উনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন দক্ষ নেতা ছিলেন।মান অভিমানে দল ত্যাগ করেছেন হয়তো কিন্তু উনি মানুষ হিসেবে ভালো মানুষ।