বৃহস্পতিবার,২৫ শে এপ্রিল ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী ,নিউজ বাংলা ডিজিটাল : দুর্গাপুরের ফুলঝোড় মোড় থেকে জেমুয়া রোড এই মুহূর্তে দুর্গাপুরের অন্যতম ব্যস্ত একটি রাস্তা।জেমুয়া গ্রামের মানুষ এই রাস্তা ধরেই যাতায়াত করতে করেন।এই রাস্তার উপর দুর্গাপুরের ডা: বি সি রায় ইন্জিনিয়ারিং কলেজ সহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দুর্গাপুর সহ দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও রাজ্যের বাইরের বহু ছেলেমেয়েরা এই কলেজে পড়াশোনা করতে আসেন। কলেজে অধ্যাপনার জন্য আসেন বহু অধ্যাপক। এই এলাকায় বহু বহুতল আবাসন রয়েছে।স্বাভাবিকভাবেই যাতাযাতের জন্য সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এই রাস্তাটি জেমুয়া গ্রামের সাধারণ মানুষ , স্থানীয় এলাকার বিভিন্ন আবাসনের বসবাসকারী থেকে কলেজ পড়ুয়া এবং ডা : বিসি ইন্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্য এই রাস্তাটি যাতাযাতের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া জেমুয়া রোডে এইটবি রুটের বেশকিছু মিনিবাস চলে কিন্তু স্থানীয় মানুষের অভিযোগ এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর বেশকিছুদিন ধরে মার্বেল পাথর বোঝাই বেশকিছু ট্রেলার রাস্তার দুই ধারে এই অফিস টাইমে দাঁড়িয়ে থাকার ফলে রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ ক্ষন রাস্তায় আটকে পড়েছেন জেমুয়া গ্রামের মানুষ থেকে কলেজ পড়ুয়া অধ্যাপক থেকে পথ চলতি মানুষ এমনকি অ্যাম্বুলেন্সে মুমূর্ষ রোগীও । স্থানীয় মানুষের অভিযোগ তারা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না এই যানজটের কারণে।কলেজ পড়ুয়াদের অভিযোগ তারা সঠিক সময়ে কলেজে পৌঁছাতেই পারছেন না তেমনি অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্তরাও সঠিক সময়ে কলেজে পৌঁছাতে পারছেন না প্রতিদিনের এই যানজটের কারণে। হঠাৎ এই প্রতিদিনের যানজটের কারন কি? প্রশ্ন করলে স্থানীয় মানুষ জানান স্থানীয় একটি মার্বেলের স্টক পয়েন্টে ভিন রাজ্যে থেকে মার্বেল আনার জন্য এই ট্রেলার গুলি প্রতিদিন আসে মার্বেলের স্টক পয়েন্টে। ব্যস্ত এই জেমুয়া রোডের রাস্তায় এই ট্রেলার গুলি অফিস টাইমে রাস্তার দুই ধারে অযথা দাঁড় করানোর কারনে রাস্তায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিদিন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ দুর্গাপুরের বিভিন্ন রাস্তার উপর কড়া পুলিশি নজরদারি নাকা চেকিং পয়েন্ট থাকলেও জেমুয়া রোডে এনটিএস থানার পুলিশের কোন কড়া নজরদারি অভাবে রাস্তায় এই ভাবে বড় বড় ট্রেলার গুলি অফিস টাইমে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে থাকছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার অফিস টাইমে পথ চলতি মানুষের দীর্ঘ যানজটের আটকে নাভিশ্বাস উঠে। ফলে কলেজ পড়ুয়ারা অনেকেই বৃহস্পতিবার কলেজে সঠিক সময়ে উপস্থিত হতে পারেননি।অথচ জেমুয়া রোডের ঢিল ছোড়া দূরত্বে রয়েছে এম এ এম সিতে দুর্গাপুর নিউ টাউন শিপ থানা। স্থানীয় মানুষের দাবি এইভাবে ট্রেলার গুলি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকলে যেকোনদিন এই রাস্তায় বড় ধরনের ফের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।অতীতেও এই জেমুয়া রোডে বেশ কয়েকটি পথ দুর্ঘটনার ইতিহাস রয়েছে বলে দাবি স্থানীয় মানুষের।স্থানীয় ফুলঝোড়ের এক বাসিন্দা নাম জানতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন এই মার্বেলের শোরুম টি স্থানীয় এক প্রভাশালীর হবার কারণে স্থানীয় সাধারণ মানুষ কেউ ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। ফলে প্রতিদিন অফিস টাইমে এই জেমুয়া রোডে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় । অফিস টাইমের আগে ও পরে যদি ট্রেলার গুলি মার্বেল পাথর নামিয়ে স্থান ত্যাগ করতো তাহলে হয়তো এত যানজট সৃষ্টি হতো না অফিস টাইমে। পুলিশ বা স্থানীয় কাউন্সিলর এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে ভালো হতো বলে জানান স্থানীয় মানুষ।এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ দীপঙ্কর লাহার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ও দীপঙ্কর লাহাকে ফোনে পাওয়া যায় নি।