শনিবার ,২৩শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
ব্যুরো নিউজ, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : দুর্গাপুরের মুখ উজ্জ্বল করলেন দুর্গাপুরের দুই যোগ ব্যায়ামবীর। একজন দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গীর অরবিন্দ পল্লীর বাসিন্দা।নাম অঞ্জন ব্যানার্জি।যোগার প্রশিক্ষক। বয়স তার ষাট ছুঁই ছুঁই। অপরজন হলেন অঞ্জন ব্যানার্জির সুযোগ্যা ছাত্রী ষাটের কোঠায় বয়সে থাকা স্টিল টাউন শিপের চন্ডীদাসের বাসিন্দা সোনালী দে। প্রশিক্ষক এবং ছাত্রী উভয়েই আন্তর্জাতিক যোগ ব্যায়াম প্রতিযোগিতায় ট্রেডিশনাল যোগাতে প্রথম স্থান অর্জন করে স্বর্নপদক পান । দুর্গাপুরের দুই পৌড়ের দুটি স্বর্ন পদক জয়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশ তথা রাজ্য সেই সঙ্গে দুর্গাপুরের মুখ ফের উজ্জ্বল হলো আন্তজার্তিক দরবারে। গত ৮-৯ই সেপ্টেম্বর ইউনিভার্সাল যোগা স্পোর্টস ফেডারেশনের উদ্যোগে থাইল্যান্ডের বাংককে আয়োজিত এশিয়া প্যাসিফিক যোগা চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ দুর্গাপুরের এই দুই পৌড় ট্রাডিশনাল যোগা বিভাগে দুজনেই প্রথম স্থান অর্জন করে।পুরুষ ও মহিলা বিভাগের দুটি ইভেন্ট ই ৫০-৬০ বছরের মধ্যে প্রতিযোগিতা হয়। অঞ্জন ব্যানার্জি এবং সোনালী দে দুজনেই এই দুটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। দুই জনই দুটি ইভেন্ট এ বিচারকদের নজর কাড়েন।এর আগেও করোনা পরিস্থিতির লক ডাউনে আন্তর্জাতিক স্তরের যোগ ব্যায়াম প্রতিযোগিতায় অনলাইনে অঞ্জন ব্যানার্জি অংশ নেন এবং প্রথম স্থান অধিকার করেন। তাছাড়া দেশীয় বিভিন্ন যোগা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে অঞ্জন ব্যানার্জি বিভিন্ন পদক পান।তার এই যোগ ব্যায়াম প্রীতির পিছনে রহস্য কি জানতে প্রশ্ন করায় অঞ্জন বাবু বলেন আসলে আমি আগে একসময় খুব অসুস্থ থাকতাম। সুস্থ থাকতে আমাকে প্রচুর অ্যালোপ্যাথি ঔষধ খেতে হতো। তারপর যোগ ব্যায়াম শুরু করি সুস্থ থাকতে সেই শুরু। তারপর একদিন ও আর করা বন্ধ করিনি যোগ ব্যায়াম করা। যোগ ব্যায়ামেই নীরোগ হওয়া সম্ভব এই বার্তা দিতে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায় অঞ্জন বাবু যোগা শিবির করেন। জানা গেছে থাইল্যান্ড জয়ের পর অঞ্জন ব্যানার্জি এবং সোনালী দে দুর্গাপুরে ফিরেছেন। অঞ্জন ব্যানার্জি এবং সোনালী দে র স্বর্ন পদক প্রাপ্তি নিয়ে তার ভক্তদের মধ্যে দুর্গাপুরে চরম উন্মাদনা সৃষ্টি হয় । অঞ্জন ব্যানার্জি এবং সোনালী দে তাদের এই জয় কে উৎসর্গ করেন দেশের সঙ্গে সঙ্গে রাজ্য এবং দুর্গাপুর বাসীর উদ্দেশ্য।সেই সঙ্গে অঞ্জন ব্যানার্জি বলেন আমার এই জয়ের পিছনে সব থেকে বেশী যিনি উৎসাহ দিয়েছেন এবং সব রকম সাহায্য করেছেন তিনি আমাদের দুর্গাপুর যোগাসনা স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি রমা প্রসাদ হালদার।তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকবো সারাজীবন। দুর্গাপুর যোগাসনা স্পোর্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি রমা প্রসাদ হালদার বলেন অঞ্জন ব্যানার্জি আমার পাড়ার বাসিন্দা। নিষ্ঠাবান একজন যোগ প্রশিক্ষক। খুব ভালো মানুষ। খুব ভালো যোগ প্রশিক্ষক। অঞ্জন ব্যানার্জি ও তার ছাত্রীর উভয়েরই ষাট বছরের কাছাকাছি বয়স। এই বয়সে কিভাবে যোগার মাধ্যমে সুস্থ নীরোগ এবং স্বাভাবিক থাকা যায় সেটা প্রমান করেছেন উনারা।আজ আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতায় দুজন ষাট ছুঁই ছুঁই বয়সের মানুষ বিদেশের মাটিতে প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করে স্বর্ন পদক পেয়েছেন এটা আমাদের কাছে তথা সারা দুর্গাপুর বাসীর কাছে গর্বের বিষয়।