দুর্গাপুরের ডেঙ্গু নিয়ে দুরকম তথ্য দিলেন সরকারের দুই প্রতিনিধি। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

 

ব্যুরো নিউজ : দুর্গাপুরের ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে সোমবার দুই রকম তথ্য দিলেন দুই সরকারি  সরকারি প্রতিনিধি।জেলা সাস্থ্য আধিকারিক এবং দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক রাখি তেওয়ারি। দুজনে দুরকম তথ্য দিলেন উপস্থিত সাংবাদিকদের।এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তথ্য গোপন করার অভিযোগ উঠলো  শাসকদল পরিচালিত দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক দের বিরুদ্ধে।এই ঘটনায় গোটা দুর্গাপুরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে   ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

সিটি সেন্টার সংলগ্ন পশাল ডিহা দুর্গাপুর পুরঐসভার ৩২ নং ওয়ার্ড।পলাশ ডিহাতে গত সপ্তাহে প্রথমে দুজন এরপর লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে  ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। এরপরেই নড়েচড়ে বসে  দুর্গাপুর পুরসভা । দুর্গাপুর পুরসভার পক্ষ থেকে ঐ এলাকার প্রায় ৫০ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।  ১৪ জন ডেঙ্গু পজেটিভ হয়, এলাকায় মোট ডেঙ্গুর আ।ক্রান্তের  সংখ্যা তখন ১৬ বলে জানিয়েছিলেন নগর নিগমের প্রশাসক মন্ডলী সদস্য রাখি তেওয়ারি।পরে আরো আক্রান্ত হন।১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়, এখন এলাকায় প্রায় ৩২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত বলে দাবি করে  দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক রাখি তেওয়ারি। তাছাড়া বেনাচিতি তে দুজন এবং আরো একজন।

 

দুর্গাপুরের পলাশ ডিহায়  ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে দেখে তড়িঘড়ি সোমবার সৃজনী পেক্ষাগৃহে জরুরী বৈঠক করেন সহকারি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক কেকা মুখার্জী।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় তিনি জানান, ৫০ এর অধিক ডেঙ্গু আক্রান্ত পলাশ ডিহাতে । দুরকম তথ্য কে নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরছা।কে সঠিক তথ্য দিলেন দুর্গাপুর পুরসভা নাকি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর।কেন ই বা তথ্য গোপন করলেন। দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক তথা তৃণমূল কংগ্রেসের ১৪ নং ওয়ার্ডের এই প্রাক্তন পৌরমাতা। যদিও সোমবার রাখি তেওয়ারি স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পলাশ ডিহা পরিদর্শন করেন।বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ খবর নেন আক্রান্ত দের। এলাকায় জলা জমা না করতে এবং এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে।মশারি খাটিয়ে এলাকার লোকজন কে শোবার ও পরামর্শ দেন। ডেঙ্গু নিয়ে দুরকম তথ্য প্রকাশ্যে আশায় বিজেপি নেতৃত্ব তীব্র প্রতিবাদ জানান।সঠিক তথ্য না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন দুর্গাপুরের বিজেপি নেতৃত্ব।

 

 

 

error: Content is protected !!