গনেশ চক্রবর্তী, দুর্গাপুর : ‘ শনিবার দুর্গাপুরের ই এস আই হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের উদ্ধোধন হলো। ২০ শয্যার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট করা হলো ইএস আই হাসপাতালে।এতদিন দুর্গাপুরের ই এস আই হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট ছিল না।তাই বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকরা দুর্ঘটনার কবলে পড়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে এলে তাকে রেফার করে দিতে হতো বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে। এবার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাবে। জানা গেছে ই এস আই হাসপাতালে এবার থেকে সি আর্ম মেশিন দিয়ে দুর্ঘটনা প্রাপ্ত রোগীর কি হয়েছে তা নির্ণয় ও করা যাবে। এদিন ই এস আই হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের উদ্ধোধন করে মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা আসনের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কীর্তি আজাদ ও জাল ওষুধ নিয়ে সরব হন। কীর্তি আজাদ বলেন দেশে ভুয়ো ওষুধের জন্য মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের, এর দায় কেন্দ্রীয় সরকারের’।
কীর্তি আজাদ বলেন যাদের লাইসেন্স দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তারাই ভুয়ো ওষুধের কারবার করছে। আর সেই ওষুধ খেয়ে কোন কাজ হচ্ছে না রোগীদের। সেই কারণেই মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষকে। আর বাড়ির লোকেদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের। কিন্তু এর জন্য আসল দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। আমি এর জন্য লড়ছি। যতদূর যাওয়ার যাব।” মন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প করার পর এখন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে বহু মানুষের।
স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এটা বিশাল পরিবর্তন হয়েছে পশ্চিম বঙ্গে।মলয় ঘটকের দাবি ইএস আই হাসপাতাল দেশের মধ্যে সেরা স্বাস্থ্য পরিষেবা দেবার জন্য পুরষ্কৃত হয় গত আট বছর ধরে পুরষ্কৃত হচ্ছে।বছরে পঞ্চাশ কোটি টাকা আর্থিক পুরষ্কার পায়।সেই টাকাতে এই সি আর্ম মেশিন আনা হয়েছে ই এস আই হাসপাতালে।