হিংসা অব্যাহত রাজ্যে । পঞ্চায়েত ভোটের দিন থেকে শুরু করে ভোট গণনা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসের ছবি ফুটে উঠেছে।
অভিযোগের তীর সেই শাসক দলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, পাণ্ডবেশ্বর এর হরিপুর পঞ্চায়েতের বাজারী গ্রামের বিজেপি কর্মী প্রধান বাদ্যকরে স্ত্রী কাজলি বাদ্যকর হরিপুর পঞ্চায়েতের ৩৬ নম্বর বুথে দাঁড়িয়েছিলেন বিজেপির টিকিটে। অভিযোগ ভোট গণনা শেষ হতেই তার বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি কর্মী প্রধান বাদ্যকর জানান, ভোট গণনা পর্ব শেষ হতেই দেশ কি কয়েকজন তৃণমূল কর্মী তার বাড়িতে চড়াও হয়ে তার বাবা,স্ত্রী এবং বাড়ির ছোট বাচ্চাদের উপর আক্রমণ চালায়। ভেঙে ফেলা হয় বাড়ির সমস্ত আসবাব । নষ্ট করে দেওয়া হয় খাবার দাবার এমনকি বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় তার বাড়ি থেকে বলে অভিযোগ তার। ঘটনাটি ঘটে গতকাল ভোট গণনা শেষ হবার পর রাত্রিবেলা। প্রধান বাদ্যকর জানান তৃণমূলের মারের আঘাতে তার বাবা গুরুতর আহত। তিনি এমন অভিযোগ করেন যে তৃণমূল কর্মীরা তার বাড়িতে এসে তাকে প্রাণে মেরে ফেলা হুমকিও দেয়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে শাসকদল ।
গতকাল ভোট গণনা শেষ হওয়ার পর যখন পশ্চিম বর্ধমানের প্রায় সমস্ত পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে, সেই মুহূর্তে সমাজ মাধ্যমের মাধ্যমে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তার দলের কর্মীদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভোটে জয়লাভের পর তার দলের লোকেরা যেন কোন বিরোধীদের ওপর কোনরকম অন্যায় অত্যাচার না করে। যদি কেউ এ কথার অন্যথা করে তার বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নরেন বাবু । তবে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা জেলা সভাপতির নির্দেশ অমান্য করে হরিপুর পঞ্চায়েতের বাজারি গ্রামের এই ঘটনায় কারা জড়িত সেটা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে ধোঁয়াশা।
বুধবার দুপুরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পরিদর্শনে আসেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি দিলীপ দে। ঘটনাস্থলে এসে দিলীপবাবু পুলিশ ও তৃণমূল দলের লোকেদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেভাবে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল তার বিরুদ্ধে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া হবে । দিলীপবাবু বলেন বর্তমানে আদালতের ওপরই মানুষের ভরসা। আর তাই এই বিষয়ে তারা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন।