বিশেষ প্রতিবেদন…..
গনেশ চক্রবর্তী, দুর্গাপুর : দুর্গাপুরের পরিবেশ দূষণ নিয়ে বরাবরই সরব দুর্গাপুরের সৃজনশীল শিল্পীরা। পরিবেশ বাঁচাতে রবিবার দুর্গাপুরের দূষণ রোধের সচেতনতা প্রচারে বসে আঁকো প্রতিযোগিতার আয়োজন করলো দুর্গাপুরের এক আর্ট সংস্থা। দুর্গাপুরের সৃজনী অডিটোরিয়াম চত্ত্বরে দুর্গাপুরের আর্ট শিল্পীদের সংস্থা সিক্সথ ডাইমেশন এই আর্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগিরা পরিবেশের তাদের কল্পনার বিভিন্ন ছবি যেমন কেউ কেউ ক্যানভাসে তুলে ধরেন। তেমনি কেউ কেউ আবার দূষন মুক্ত গাছগাছালি সবুজে ভরা দুর্গাপুরের ছবি আঁকেন আর্ট পেপারে।সব মিলিয়ে এই প্রতিযোগিতায় বেশির ভাগ অংশ গ্রহণ কারীদের আঁকা ছবিতে ধরা পড়ে দুর্গাপুরের দূষণ মুক্ত সবুজ পরিবেশ । দুর্গাপুরে যখন উন্নয়নের নামে প্রশাসনের চেয়ারে বসে এক শ্রেণীর প্রভাশালীরা সরকারি শীলমোহরে অক্লেশে গাছ কাটছেন। ব্যবসায়ীক স্বার্থে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বেসরকারি কলকারখানা থেকে নির্গত দূষণ রোধে কোন কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছেন না তারা। দূষণ রোধ প্রশ্নে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদাসীনতা কার্যত এক সূতোয় গাঁথা রয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সঠিক পদক্ষেপ না নেওয়ায় দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষের নজর কেড়েছে দুর্গাপুরের পরিবেশ দূষণ পর্ষদ ,পরিবেশ দপ্তর, বন দপ্তর ,দুর্গাপুরের মহকুমা প্রশাসন ,দুর্গাপুর নগর নিগম। এইসব সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় শহরের বুকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দূষণ বলে অভিযোগ শহরের সুশীল সমাজের। একদিকে উন্নয়নের নামে পরিকল্পিত ভাবে প্রবীণ গাছ ধ্বংস করা হচ্ছে দুর্গাপুর শহরে। প্রতিবাদের বদলে কর্পোরেটের মোড়কে ঢাকা লোকদেখানোর পরিবেশ রক্ষার ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতার আসর অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই দুর্গাপুরেই। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের উদাসীনতায় শহর দুর্গাপুরের দূষণের বাস্তব ছবি দেখে আতঙ্কে এখন আট থেকে আশি। এই দূষনের কবলে পড়া ভুক্তভোগী শুধু বয়োজ্যেষ্ঠরাই নন, দূষণ নিয়ে সরব এখন নুতন প্রজন্মের কচিকাঁচারাও। দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের দূষণ নিয়ে একটু সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে খোঁজখবর করলেই জানা যাবে শ্বাস কষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা। সঙ্গে সঙ্গে তালমিলিয়ে বাড়ছে চর্ম রোগ।সেই সংখ্যা ও মিলবে চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে। দূষণ রিপোর্টে দুর্গাপুরের দূষণ এখন দিল্লীকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে সেই খবর সকলের জানা। দুর্গাপুরের দূষনের AQI গ্রাফ পর্যালোচনা করলে দুর্গাপুরের দূষণের বাস্তব চিত্র দেখা যাবে। দুর্গাপুরের মহকুমা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যেখানে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণে কড়া মনোভাব নেবার কথা সেখানে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ এক মন্ত্রী সহ দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা তখন উৎসব সিজনে সকলে ব্যস্ত। একের পর এক দুর্গাপুরের উৎসবে তারা সকলেই মাতোয়ারা।এইসব দেখে হতাশ দুর্গাপুরের ভুক্তভোগীরা। দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুরের সৃজনশীল শিল্পীরা পরিবেশ দূষনের বিরুদ্ধে সরব। দুর্গাপুর মহকুমা প্রশাসনের পরিবেশ দূষন নিয়ে ভাত ঘুম দেওয়া দেখে এখন দুর্গাপুরের শিল্পীরা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে রঙ তুলি নিয়ে দূষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে রাস্তায় নেমেছেন। সবুজ পৃথিবী কে নুতন প্রজন্মের জন্য বাঁচিয়ে রাখতে রঙ তুলি দিয়ে দূষণ মুক্ত স্বপ্নের পৃথিবী গড়ে তুলতে বিভিন্ন অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করছেন সিক্সথ ডাইমেশন সংস্থারা শিল্পীরা। দুর্গাপুরের বিভিন্ন ব্লকে পরিবেশ দূষণ রোধের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অঙ্কন প্রতিযোগিতা চলছে বেশ কিছু দিন ধরে।সৃজনী অডিটোরিয়াম চত্ত্বরে রবিবার সেই লক্ষ্যেই বিশাল এক অঙ্কন প্রতিযোগিতার চুড়ান্ত পর্যায় অনুষ্ঠিত হয়। দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকার ছোট বড় বিভিন্ন বয়সের ছেলেমেয়েরা এবং শিল্পীরা অংশ নেন এই প্রতিযোগিতায়।দুর্গাপুরের সিক্সথ ডাইমেশন সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টায় এই অঙ্কন প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন শিল্পী সমাবেশ সঙ্গে রঙ তুলি ক্যানভাসে দুর্গাপুরের সৃজনী সভাগৃহ চত্ত্বর রবিবার বিকেলে এক অন্যরুপ পায়। সিক্সথ ডাইমেশন সংস্থার এক কর্মকর্তা বাপ্পা চৌধুরী দুর্গাপুরের দূষণ রোধে এই অঙ্কন প্রতিযোগিতা নিয়ে কিকি বললেন শুনুন