ব্যুরো নিউজ : পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকে তৃণমূলের জয়জয়কার। ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতই দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসনের ২২ টির মধ্যে তৃণমূল সবকটি আসনে জয়লাভ করেছে। লাউদোহা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসনের ২১ টির মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২০ এবং একটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি । গৌরবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ১২টি যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১১ টি এবং বিজেপি একটি আসনে জয়লাভ করেছে। প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ১৬টি। যার মধ্যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ১৬ টি আসনে জয় লাভ করে নিরঙ্কুস সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ইছাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে একই চিত্র,মোট আসন ২৩ টি সবকটিতেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল। অপরদিকে জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীদের বিশেষ করে সিপিআইএমের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেওয়ার কথা থাকলেও ১৬ টি আসনের সব কটিতেই জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস।
দুর্গাপুর মহকুমার আরেক ব্লক অন্ডাল সেখানেও পঞ্চায়েতে সবুজ ঝড় অব্যাহত। অন্ডাল ব্লকের মোট সাতটি পঞ্চায়েতেই তৃণমূলের দখলে। এখানেও বিরোধীরা তাদের থাবা বসাতে পারেননি।
রামপ্রসাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২টি যেখানে তৃণমূল পেয়েছে ২১ টি এবং বামেরা একটি আসনে জয়লাভ করেছে। অন্ডাল ব্লকের আরেক গাম পঞ্চায়েত উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। মোট আসন সংখ্যা ২৭। যেখানে তৃণমূল পেয়েছে ২৫ টি এবং এখানে উল্লেখযোগ্য নির্দল প্রার্থী দুটি আসনে জয়লাভ করেছে। শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ৬ ,তৃণমূল পেয়েছে ৪ এবং সিপিআইএম ২টি আসনে জয়লাভ করেছে। মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ২৫, তৃণমূল পেয়েছে ২২টি এবং বামেরা পেয়েছে ৩টি। কাজোরা গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ২৫ ,তৃণমূলের ঝুলিতে ২৩ টি আসন এবং বামেরা এখানেও দুটি আসন জয়লাভ করেছে। দক্ষিণখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ১৬ ,সবকটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীরা জয় লাভ করছে। খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ২৩, তৃণমূল পেয়েছে ২০টি সিপিআইএম পেয়েছে ৩টি আসন।
অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ২৬, তৃণমূল ২৫ এবং বামেরা একটি আসনে জয়লাভ করেছে।
যদি এবার চিত্রটা দেখি খনি এলাকা অর্থাৎ পাণ্ডবেশ্বর ব্লকের দিকে নজর দি ,তবে কিছুটা হলেও রাজ্য পরিবর্তনের ঝড় আসার পর এই পাণ্ডবেশ্বর লালদুর্গ সবুজ দুর্গে পরিণত হয়েছিল। আর সেটাই আবারো বহাল রাখল এই ব্লক।
পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে ছটি পঞ্চায়েতের সবকটিতে উড়ল সবুজ আবির। যদিও উল্লেখ করতে হয় এই ব্লক এর যিনি কান্ডারি তৃণমূলের অর্থাৎ তৃণমূলের বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রাজনৈতিক মহলের ধারণা সেই নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কারিশময় রইল পাণ্ডবৎসরে।
কেন্দা গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ২১ টি সবকটি আসনেই জয়ী লাভ করেছে তৃণমূল। বৈদ্যনাথপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ২৬ এখানেও তৃণমূল পেয়েছে সবকটি আসন। হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ২০টি, সবকটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী। ছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ২৬ ,সবকটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী। নবগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ১৮ ,সবকটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়ী। বহুলা গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ২৩,তৃণমূল পেয়েছে ২২ টি একমাত্র আসন পাণ্ডবেশ্বর ব্লকে বামেরা এই পঞ্চায়েতে জয়ীলাভ করেছে।
দুর্গাপুর মহকুমার আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্লক জঙ্গলমহল লাগোয়া কাঁকসা ব্লক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণার পর থেকে নমিনেশনের তারিখ থেকে শুরু করে ফলাফলের দিন পর্যন্ত খবরের শিরোনামে ছিল এই ব্লক। যেখানে বারবার বিরোধীদের প্রতিবাদ সংঘর্ষ সন্ত্রাস ভোটের দিন থেকে শুরু করে ফলাফলের দিন সবই ঘটেছে। তবে কিছুটা হলেও বিরোধীরা এই ব্লকে থাবা বসাতে পারলেও প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। কাঁকসা ব্লকের মোট পঞ্চায়েত সাতটি।সবকটিতেই জয়লাভ করেছে তৃণমূল।
বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ১৫,সবকটি আসলে তৃণমূল জয় লাভ করেছে। মলানদিঘী গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন সংখ্যা ১৩ তৃণমূল পেয়েছে ১১ টি এবং বামেরা পেয়েছে ২টি আসন। বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ১৬ তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন,বামেরা পেয়েছে ১টি আসন এবং বিজেপি পেয়েছে ৩টি আসন। গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ৩০,তৃণমূল পেয়েছে ২৯ এবং বামেরা পেয়েছে একটি আসন। আমলা জোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ২৭,তৃণমূল পেয়েছে ২৫ টি এবং বামেরা পেয়েছে একটি আসন এখানে বিজেপি পেয়েছে একটি আসন।
ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন ২৩ তৃণমূল পেয়েছে ১৩ টি বামেরা পেয়েছে ৭টি এবং বিজেপি পেয়েছে ৩টি আসন। কাঁকসা গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন তিরিশ তৃণমূল পেয়েছে ১৭টি সিপিআইএম পেয়েছে ২টি এবং বিজেপি পেয়েছে ১১ টি। অর্থাৎ ত্রিলোক চন্দ্রপুর ও কাঁকসায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে।