বৃহস্পতিবার,২২ শে আগস্ট ২০২৪
ব্যুরো নিউজ, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিরুদ্ধে গুরুতর প্রতারণার অভিযোগ উঠলো।ব্যাংকে থাকা গ্রাহকের চেক বহিতে স ই জাল করে লক্ষাধিক টাকা গায়েব হয়ে গেল।এই বিষয়ে দুর্গাপুরের সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।সিটি সেন্টারের এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে দুর্গাপুরের সি জোনের বাসিন্দা একগৃহবধূ বাবার সঙ্গে জয়েন্ট একাউন্ট রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বলে জানা গেছে।তার ব্যাংক চেক বহি শেষ হয়ে যায়। এরপর নুতন চেকবহিএর জন্য আবেদন করেন তিনি। বাড়িতে এলেও চেকবহি সময় মতো সংগ্রহ করতে না পারায় চেক বহি টি ব্যাংকে জমা হয়ে যায় বলে দাবি গৃহবধূর। এরপরেই একদিন মোবাইলে মেসেজ আসে তার একাউন্ট থেকে লক্ষাধিক টাকা তোলা হয়েছে। তৎক্ষণাৎ তিনি তার ব্যাংকে যান। অভিযোগ তার কথা না শুনে ব্যাংকের আধিকারিকরা এবং ম্যানেজার তিনি যে নিজের অথরাইজেশন লেটারে কাউকে পাঠিয়ে সই করা চেক বহি ব্যাবহার করে টাকা তুলেছেন এই দাবিতে সরব হয়ে কার্যত তাকে জালিয়াতি বলে তাড়িয়ে দেয় বলে অভিযোগ গৃহবধূর। এরপরেই সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ। গৃহবধূর দাবি চেক বহির এই স ই তার কোনভাবেই নয়।এটি জাল স ই।তার স ই নকল করা হয়েছে দাবি করেন গৃহবধূ। গৃহবধূর আরো অভিযোগ ব্যাংকের ম্যানেজার তাকে সহযোগিতা না করে উল্টে তাকেই দোষারোপ করছেন। জালিয়াত বলছেন ব্যাঙ্কের অন্যান্য কর্মীরা বলে অভিযোগ গৃহবধূর।গৃহবধূর অনুমান এই ব্যাংকে নিশ্চয়ই কোন প্রতারনা চক্র রয়েছে তারাই এই কান্ড ঘটিয়েছে। গৃহবধূর সন্দেহ এই চক্রের সঙ্গে ব্যাংকের কোন কোন আধিকারিক বা কর্মী জড়িত থাকতে পারেন।তা নাহলে কি করে ব্যাঙ্কে থাকা চেক বহি থেকে স ই নকল করে গ্রাহকের টাকা তোলা হলো! প্রশ্ন তোলেন এটা কি কোনভাবেই সম্ভব গ্রাহকদের পক্ষে। সাইবার ক্রাইম আধিকারিকরা গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।এই খবর চাউর হতেই শিল্পাঞ্চল জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।