Special Report : দুর্গাপুরে স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ

শুক্রবার,১৬ ই আগস্ট ২০২৪

গনেশ চক্রবর্তী, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় আসল দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং রাজ্য জুড়ে নারী সুরক্ষা নিয়ে মহিলারা যখন সোচ্চার তখন দুর্গাপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে অপহরনের চেষ্টা হলে ফের নারী সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠলো।সব থেকে বড় বিষয় হয়েছে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ ছাত্রীদের বাবা মায়েদের‌। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা থেকে দুর্গাপুরের সুশীল সমাজে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দুর্গাপুরের গোপাল পুরের বাসিন্দা দুই স্কুল ছাত্রী সাইকেলে করে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এফ সি আই কলোনি এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে একটি ব্লু রঙের চারচাকা গাড়ি এসে প্রথমে পথ আটকায়।এর পর‌ গাড়ি থেকে নেমে মদ্যপ চালক এক ছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তুলতে গেলে ছাত্রী ই  জোর চিৎকার চেঁচামেচি করে। এরপরেই চম্পট দেয় মদ্যপ চালক। সোমবারের ঘটনা। শুক্রবার এই খবর চাউর হয়।এরপরেই বাড়িতে গিয়ে বাবা মা সব বলে দুই ছাত্রী। এরপর বিধান নগর ফাঁড়িতে দুই ছাত্রীর বাবা মা অভিযোগ জানানে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে প্রথমে অস্বীকার করে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থল কাঁকসা থানার অন্তর্গত বলে কাঁকসা থানায় অভিযোগ করতে বলেন ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলে অভিযোগ।এরপরেই নাকি বলেন ভগবানের নামে কেন মেয়েদের একা একা ছেড়ে দেন।এই কথাতে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্কুল ছাত্রীর বাবা মা। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাও সরব হন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে।  ছাত্রীদের বাবা মা বলেন মেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে।মেয়েরা স্বাধীনত ভাবে স্কুলে যাবে। নিরাপত্তা দিতে পুলিশের উচিত রাস্তায় টহল দেওয়া।তা না করে পুলিশ উল্টোপাল্টা কথা কি করে বলতে পারে এটাই খুব খারাপ লাগছে। রাজ্যে জুড়ে যখন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় মহিলারা সোচ্চার। নিরাপত্তার দাবিতে আন্দোলনরত তখন পুলিশের আলটপকা কথা সমাজে ভুল বার্তা যায়।দুর্গাপুরের সুশীল সমাজ ও পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।জানা গেছে  শেষমেশ স্কুল ছাত্রীর বাবা মা বাধ্য হয়ে এই ঘটনার মুখ্যমন্ত্রী এবং জেলার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

error: Content is protected !!