সোমবার,১ লা জুলাই ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : ফের হেল্থ হাব দুর্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠলো।সিটি সেন্টারের বেসরকারি হাসপাতালের পর এবার দুর্গাপুরের শোভাপুরের আই কিউ সিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে সোমবার ধুন্ধুমার কান্ড ঘটলো হাসপাতালের গেটের সামনে। রোগীর পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ রোগীকে দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে হাসপাতালে ঢুকতে গেলে হাসপাতালের এক শ্রেণীর বাহুবলী কর্মী এবং নিরাপত্তা রক্ষীরা রোগীর পরিবারের লোকজনদের মারধর করে বলে গুরুতর অভিযোগ করে। রোগীর পরিবারের লোকজন রা বলেন আমাদের বাচ্চা কে ছেড়ে দিন আমরা অন্য কোথাও নিয়ে যেতে চাই।যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর পরিবারের লোকজনদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা অভিযোগ করে রোগীর কর্তব্যরত চিকিৎসক চাইছেন রোগীর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলতে রোগীর পরিবারের লোকজন রা দেখা করছেন না। দুপক্ষের অনড় মনোভাবের ফলে সোমবার দুর্গাপুরের আই কিউ সিটি হাসপাতাল চত্তরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুর্গাপুরের বিজোন ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জানা গেছে পাণ্ডবেশ্বরের দশ বছরের শিশু স্বস্তি কুমারী রবিবার জ্বর নিয়ে আই কিউ সিটি হাসপাতালে ভর্তি হয় বলে জানান পরিবারের লোকজন। সোমবার তাদের জানানো হয় স্বস্তির অবস্থার অবনতি হয়েছে তাকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়েছে। রোগী স্বস্তির পরিবারের লোকজনদের অভিযোগ ভেন্টিলেশনে দেওয়া হলেও আমাদের কাউকে একবার দেখতে দেওয়া হচ্ছে না স্বস্তিকে।কি অবস্থায় রয়েছে স্বস্তি জানাচ্ছে ও না।চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছি আমরা। স্বস্তির অবস্থা খারাপ থাকলে আমরা ওকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করাতে চাইছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই আমাদের কথা শুনতে চাইছে না। উল্টে আমাদের মারধর করছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের লোকজনদের। এইদিকে আই কিউ সিটি হাসপাতাল সিইও সুপর্না সেনগুপ্ত বলেন রোগী হাসপাতালে ভর্তির আগে জ্বর ছিল এবং কাশতে কাশতে রক্ত ওঠে বাড়িতে বলে আমরা জানতে পারি। রোগীর ব্রেন টিবি হয়েছে। এই মুহূর্তে রোগীর অবস্থা অতি সংকটজনক। সব ধরনের চিকিৎসা চলছে। কোন চিকিৎসার গাফিলতি করা হয়নি। এই মুহূর্তে এই অবস্থায় আমাদের কিছু করার নেই। উনারা রোগীকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলে আমরা সব রকম সহযোগিতা করছি।এসি অ্যাম্বুলেন্স দিচ্ছি। বর্ধমান বা কলকাতা যেখানে নিয়ে যেতে চান নিয়ে যেতে পারেন। তবে রোগী অত্যন্ত সংকটজনক। মারধরের ঘটনা অস্বীকার করে তিনি বলেন আরো রোগী রয়েছে সবাই কে তো ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়।রোগীর পরিবারের লোকজনদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্টে অভিযোগ করেন রোগীর চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তো চাইছেন রোগীর পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে কথা বলতে ।উনারাই দেখা করছেন না।আই কিউ সিটি হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ চরম উৎকণ্ঠায় থাকা রোগীর পরিবারের লোকজনদের নিরাপত্তা রক্ষীদের মারধরের ঘটনা একদম নসাৎ করে দেয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। সোমবার এই রোগীর পরিবারের লোকজন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পরস্পর বিরোধী অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে আই কিউ সিটি হাসপাতাল চত্তরে। শেষমেশ গোটা ঘটনা পুলিশ কোনরকমে সামাল দেয়।