মঙ্গলবার ১৮ ই জুন ২০২৪
ব্যুরো নিউজ, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের পোষ্ট অফিস কর্মী মাখন লাল মীনা অপহরণ হননি। তাকে উত্তর প্রদেশের পুলিশ একটি প্রতারনা মামলায় গ্রেপ্তার করে উত্তর প্রদেশের আগ্রায় তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। আসানসোলে নাকা চেকিং চলার সময় ইনোভা গাড়ি সহ মাখল লাল কে উদ্ধার করা হয়। আমরা খবর নিয়েছি, পরিচয় পত্র দেখেছি যারা মাখন লাল কে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল যারা তারা সকলে উত্তর প্রদেশের পুলিশ। দুজন কনস্টেবল একজন সাব ইন্সপেক্টর এবং একজন গাড়ির চালক। এই কথা গুলি বলেন দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায়।
লাল গোল চিহ্ন হাফ প্যান্ট পরা উত্তর প্রদেশের পুলিশ যারা মাখন লালকে বাইকে ধাক্কা মেরে জাতীয় সড়কের উপর ফেলে সম্পূর্ণ বেনিয়মে অপহরণের কায়দায় তুলে নিয়ে ইনোভা করে চলে যায় এই নিয়ে যতো বিতর্ক।
তবে ভিন রাজ্য থেকে কোন অপরাধীকে কি এইভাবে স্থানীয় থানাকে না জানিয়ে এবং মহকুমা আদালতের ট্রানজিট রিমান্ড না করে কিভাবে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল উত্তর প্রদেশ ? যেভাবে উত্তর প্রদেশের পুলিশ মাখন লালের গাড়িকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে তারপর তাকে চ্যাংদোলা করে গাড়িতে তুলে আসানসোলের দিকে চম্পট দেয়।এতে মাখন লালের প্রান হানি ও ঘটতে পারতো । তাছাড়া উত্তর প্রদেশের পুলিশ নিজেদের পুলিশের উর্দি না পরে শুধু হাফপ্যান্ট পরে কেন মাখন লাল কে তুলতে এলেন সেই সব প্রশ্নের উত্তর দেননি দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায়। উল্লেখ্য মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুরের নব ওয়ারিয়া মোড় জাতীয় সড়কের উপর থেকে সিটি সেন্টারের পোষ্ট অফিসের কর্মী মাখন লাল মীনার বাইকে প্রথমে সাদা ইনোভা গাড়ি ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তারপর মাখন লাল কে তুলে নিয়ে গিয়ে চম্পট দেয়। আসানসোলের দিকে গাড়িটি যায়। কয়েকঘন্টা পর আসানসোলের কন্যাপুরে নাকা চেকিং ধরে ফেলে পুলিশ। পুলিশ মাখন লাল কে উদ্ধার করার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে জানতে পারে অপহরণকারীরা আসলে দুষ্কৃতি নয়।ইনারা উত্তর প্রদেশের পুলিশ। উত্তর প্রদেশের আগ্রায় এক প্রতারনা মামলায় অভিযুক্ত মাখন লাল।তাই উত্তর প্রদেশের পুলিশ মাখন লাল কে ধরতে তিনদিন ধরে দুর্গাপুরের এক হোটেলে থাকে। এরপর মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ মাখন লাল কে জাতীয় সড়ক থেকে তুলে নিয়ে যায়। তবে উত্তর প্রদেশের পুলিশের মাখন লাল কে যেভাবে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল তার সঠিক পদ্ধতিতে নয় এক ভুল পদ্ধতি তা স্বীকার করেন দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায়। সুবীর বাবু বলেন এরা তো পুলিশের ই লোক।যাযা ডিপার্টমেন্টাল ইনকোয়েরি করে রিপোর্ট দেবার সেই রিপোর্ট আমরা দেবো উত্তর প্রদেশের পুলিশ কে। দেখুন দুর্গাপুরের এসিপি সুবীর রায় কি বললেন