মঙ্গলবার,১১ ই জুন ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী, আসানসোল : আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বড়সড় সাফল্য। রানীগঞ্জের সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে পরপর দুজন ডাকাত কে গ্রেপ্তার করল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ।সব থেকে বড় সাফল্য হলো রানীগঞ্জের নামকরা সোনার দোকানে দুঃসাহসী ডাকাতির ঘটনার মূল চক্রী অর্থাৎ মাস্টার মাইন্ড বিশ্বজিৎ কুমার শাহ ওরফে সোনু গুপ্তা কে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ গিরিডির সরিয়া জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আসানসোল আদালতে হাজির করে। পুলিশ সোনু গুপ্তা কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে বাকি ডাকাতদের ধরতে তদন্ত চালাবে বলে জানা গেছে।একই ভাবে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই ধাওয়া করে গিরিডির সরিয়া জঙ্গল থেকে আরেক ডাকাত সূরজ কুমার সিং কে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে ডাকাতি করে পালানোর সময় শ্রী পুরের আইসি মেঘনাথ মন্ডল এর ছোড়া গুলিতে সোনু গুপ্তা আহত হয়। পিঠে গুলি লাগে। কার্বাইন হাত থেকে পড়ে যায় সোনুগুপ্তার।সেই ছবি ধরা সিসিক্যামেরায়।সোনার দোকানের সামনে প্রথমে পড়ে যায় তারপর ডাকাত দলের অন্যান্যরা তাকে তুলে নিয়ে বাইক কে করে চম্পট দেয়। যাবার সময় একটি বাইক এবং একটি ব্যাগ ফেলে যায় ডাকাত দল বলে জানা গেছে স্থানীয় সূত্রে। সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনার রোমহর্ষক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শ্রী পুরের আইসি মেঘনাথ মন্ডলের ছয় সাতজন ডাকাত দলের সঙ্গে একাই গুলির লড়াই , একজন ডাকাত কে আহত করা থেকে ডাকাতদলকে ধরতে পিছনে পিছনে প্রানের বাজি রেখে দৌড়াতে দেখে নেটিজেনরা কুর্নিশ করেন মেঘনাথ মন্ডলকে। জানা গেছে সোনু গুপ্তা কে ধরার সময় পর্যন্ত সোনু গুপ্তা কোমরের কাছে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার আদালতে হাজির করেই সোনু গুপ্তার গুলি বের করতে সোনু গুপ্তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশের কর্মকর্তারা মনে করছে যেভাবে বিহার ও ঝাড়খণ্ড জুড়ে জোর তল্লাশি চলছে আশাকরা যায় রানীগঞ্জের সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের সব দুষ্কৃতিকেই পুলিশ এক দুই দিনের মধ্যে ধরে নিতে সক্ষম হবে ।