বুধবার,২৪ শে এপ্রিল ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : হোটেল ছাড়ার আগে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কে কি বললেন এমন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই নিয়ে শুরু রাজনৈতিক জল্পনা। লোকসভা নির্বাচনের ভালো ফলের জন্য নির্বাচনী কৌশল ঠিক করে দিয়ে গেলেন নাকি নির্বাচনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব আর যাতে প্রকট না হয় সেই সতর্কবাণী শোনালেন জেলা সভাপতি কে! নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী একাধারে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি, পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক, তাছাড়া আসানসোল ও বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা লোকসভা নির্বাচনের দুর্গাপুরের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের বিপূল জয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। দায়িত্ব অনেক। দায় ও অনেক।এরমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব রয়েছে দুর্গাপুরে।।আই এন টিটি ইউ সি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের মূল দলের নেতাদের চরম গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব যেন লোকসভা নির্বাচনে কোন প্রভাব না পড়ে সেটা সুনিশ্চিত করা। একদিকে লোকসভা নির্বাচন । অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্গাপুরে থাকাকালীন বিশেষ করে দুর্গাপুরের গ্রাফাইট ইন্ডিয়া কারখানার সামনে তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠনের কর্মীদের ঝান্ডা নিয়ে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভের দৃশ্য প্রকাশ্যে আসায় বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে দল। কি হচ্ছে দুর্গাপুরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছুই নজর এড়ায়নি বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনী প্রচারের জন্য দুর্গাপুরে এসেছেন। উঠেছেন দুর্গাপুররের সিটি সেন্টারের একটি বেসরকারি হোটেলে।বুধবার দুপুরে বুদবুদ ও আউস গ্রামে জনসভা। বুধবার দুপুরে আউস গ্রাম ও বুদবুদ রওনা দেবার আগে হোটেলের করিডোরে নরেনকে ডেকে একান্তে কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসময় নিরাপত্তা রক্ষারাও বেশকিছু টা ও দূরে সরে যায়। দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে যাচ্ছেন আর নরেন কেবলমাত্র মাথা নেড়ে সায় দিচ্ছেন দলনেত্রী র সব কথায়।কি এমন কথা হলো একান্তে মুখ্যমন্ত্রী কোন উত্তর দেননি। এদিকে পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ও এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। এতোটা একান্তে কি এমন বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্নেহের নরেনকে এই নিয়ে শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা জুড়ে রাজনৈতিক জল্পনা।