এম এ এম সির তিন পড়ুয়ার মৃতদেহ অবশেষে ১৮ ঘন্টা পর উদ্ধার হল দামোদর ব্যারেজ থেকে। মঙ্গলবার দুপুরে দামোদরের জলে স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে যায় তিন পড়ুয়া। খবর পেয়ে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ ও বিশেষ উদ্ধারকারি দল তল্লাশি শুরু করে।
মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত তল্লাশি চলে।রাতের অন্ধকারে তল্লাশি চালাতে অসুবিধা হবার কারণে বুধবার সকালে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের নজরদারিতে ফের তল্লাশি শুরু হয় এবং বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একে একে তিন পড়ুয়ার মৃতদেহ জলে ভেসে ওঠে। উদ্ধারকারী দল তিন পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে। । মৃতদেহ গুলি বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। জানা গেছে জলে তলিয়ে যাওয়া তিন পড়ুয়াই দুর্গাপুরের এম. এ. এম. সি টাউনশিপের বাসিন্দা। বি ২, গনতন্ত্র পল্লী এবং মামড়ার বাসিন্দা।তিন পড়ুয়ায় ই দশম শ্রেণীর ছাত্র।প্রত্যেকের বয়স ১৬ বছর।
মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা নাগাদ দুর্গাপুরের এভিভি স্কুল থেকে আট জন ছাত্র পালিয়ে দামোদরের ব্যারেজের জলে স্নান করতে যায়। বেশ কিছুক্ষণ দামোদরের চরে আট বন্ধু আডডা দিয়ে হঠাৎ করে একজন জলে স্নান করতে নামে। এরপরেই সে তলিয়ে যেতেই তাকে উদ্ধার করতে পরপর দুজন বন্ধু জলে নেমে পড়ে তারাও তলিয়ে যায় বলে জানা গেছে।বাকি রা জলে না নামায় প্রানে বেঁচে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানার পুলিশ।তলিয়ে যাওয়া তিন ছাত্রের নাম সৌম্যজিত সাহা, শুভজিত নস্কর, ভিকি শীল। তিন পড়ুয়ার পরিবারের লোকজনের কাছে খবর পৌঁছাতেই তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে।গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।