দুর্গাপুরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কনজাংটিভাইটিস রোগটি ওষুধ অমিল বাজারে প্রশাসন পুরসভা‌র ভাত ঘুম

ব্যুরো নিউজ : কনজাংটিভাইটিস বা পিঙ্ক আই আমরা যাকে স্থানীয় ভাষায় জয়বাংলা বা চোখ উঠা বলি এটা একটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ।কোন এক জনের হলেই সেই পরিবারের সকলের হয় এই চোখের রোগটি। দুর্গাপুরে এই রোগটি গত কয়েক দিনে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। দুর্গাপুরের প্রায় মানুষের চোখ লাল বা পিঙ্ক বর্নের হয়ে গেছে।চোখ লাল বা পিঙ্ক সঙ্গে প্রবল চোখ কপাল মাথায় যন্ত্রনা পিচুটি কাটা সব মিলিয়ে তিনচার দিনের জীবন দুঃসহ করা একটা ব্যাপার। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া কলেজ পড়ুয়াদের মধ্যে এই রোগটি মারাত্মক আকার নিয়েছে। স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগটি মারাত্মক আকার নিয়েছে দুর্গাপুরের আনাচে কানাচে।

স্বাভাবিক ভাবেই এই চোখের রোগটির জন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞরা চোখের জন্য নির্দিষ্ট সব ওষুধ প্রেসক্রিপশন করছেন। যেমন Gatilox,Gatiquine ,Zymaxid eye drops এবং তাছাড়া ক্লোরোকল, ওকুপল মতো চোখের মলম। তাছাড়া নিমফল তো আছেই। জানা গেছে গত দুই সপ্তাহে এই কনজাংটিভাইটিস যেমন হুহু করে বেড়েছে তেমনি চোখের রোগটির প্রশমনের জন্য এইসব ওষুধ গুলিও হঠাৎ করে মার্কেট থেকে উধাও হয়ে গেছে ।এতেই বিপত্তি বেড়েছে দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষের।খবর নিয়ে জানা গেছে গত কয়েক দিনের মধ্যে দুর্গাপুরের বাজার থেকে উধাও  চোখের গুরুত্বপূর্ণ এইসব ওষুধ গুলি। এমনকি নিমফলের মতো অতি সাধারণ ওষুধ টিও গত পনেরো দিনে উধাও বাজার থেকে।এতেই দুর্ভোগ চরমে  পৌঁছেছে দুর্গাপুরের সাধারণ মানুষের। খোঁজ নিয়ে দেখা গেল কনজাংটিভাইটিস রোগে আক্রান্তদের পরিবারের লোকজন হত্যে দিয়ে পড়ে থাকছেন বিভিন্ন ওষুধ দোকানের সামনে। কখন পাওয়া যাবে এইসব ওষুধ গুলি এই প্রশ্ন ই ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন ওষুধ দোকানের সামনে।কেউ কেউ তো সারা দুর্গাপুর শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে হা পিতত্যেশ করতেও দেখা গেছে।এই সুযোগে দুর্গাপুরের বিভিন্ন ওষুধ দোকানদার এইসব ওষুধের কালোবাজারি শুরু করেছেন। এক একটি নিমফলের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ ও নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে।কোন কোন ওষুধ দোকানদার মাথাপিছু চারটি করে নিম ফল দেবার পরিবর্তে দশটাকা করে নিচ্ছেন । দুর্গাপুরের বিশেষ করে দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার মেন হাসপাতালের সামনের একটি ওষুধ দোকানদার কে বাড়তি পয়সায় ওষুধ বিক্রি করতে দেখা যায়। কনজাংটিভাইটিস নিয়ে দুর্গাপুরের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও উদাসীন সেই বিষয়টি পরিষ্কার জলের মতো। স্কুল কলেজের পড়ুয়াদের মধ্যেও মারাত্মক আকারে ছড়াচ্ছে কনজাংটিভাইটিস রোগটি। অথচ পশ্চিম বর্ধমান জেলার স্বাস্থ্য দপ্তর, পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর সবাই চুপ। কার্যত এইসব দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা ভাতঘুম দিয়েছেন। মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে সবাই।এইসব দপ্তরের উদাসীনতায় আজ ওষুধ দোকানদানা চোখের ওষুধ অমিলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা ই নিচ্ছে না।বা কোন ইতিবাচক ব্যবস্থা ও নেয়নি এতদিন। স্বাভাবিক ভাবেই বাজারে ওষুধ যেমন অমিল ছিল তেমনি ই রয়েছে। সাপ্লাই চেইন স্বাভাবিক করার কোন উদ্যোগ নেয় কারোর।আর ফল ভুগছে দুর্গাপুরের সাধারনমানুষ। শহরের নামিদামি চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন কনজাংটিভাইটিস কার্যত মহামারির রুপ নিয়েছে । এখন ই প্রয়োজনীয় ওষুধ দোকান গুলিতে স্বাভাবিক পরিমাণে থাকা দরকার।এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে স্থানীয় প্রশাসন পুরসভাকে। কে কার খবর রাখে।ভোট বড় বালাই।রাজনৈতিক নেতারা সামনে দুর্গাপুর পুরসভার ভোট আর সেইনিয়ে ভোটের অঙ্ক কষেই  মিটিং মিছিলে দিন পার করছেন।এই বিষয়ে দুর্গাপুরের বেনাচিতির এক ওষুধ ক্রেতা লীনা রায় বলেন কনজাংটিভাইটিসের জন্য বাজারে ওষুধ অমিল অথচ দুর্গাপুর প্রশাসন চুপ দুর্গাপুর পুরসভাও  চুপ।এর ফলে আমাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।এক ই অভিযোগ দুর্গাপুর স্টেশন সংলগ্ন শ্যামপুরের অবনী জোয়ারদারের।সকলেই চান অবিলম্বে দুর্গাপুরের প্রশাসন এবং দুর্গাপুর পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এবং শহরের সমস্ত দোকানে  রোগীদের স্বার্থে প্রয়োজনীয়  পরিমাণের ওষুধ মজুত করা করতে পারে ওষুধ দোকানদার।

 

 

 

 

error: Content is protected !!