দুর্গাপুর স্টিল পিউপলস কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া কে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা

বিশেষ প্রতিনিধি, দুর্গাপুর :  আইএনটিইউসি এবং এইচএমএসকে নিয়ে  আইএনটিটিইউসি র জোট! আর এই জোট নিয়ে দুর্গাপুর স্টিল পিউপিলস কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মনোনয়ন দাখিলকে ঘিরেই ব্যপক উত্তেজনা এবং হাতাহাতি পর্যন্ত হলো। দুদিন ধরে চললো প্রবল উত্তেজনা।দুর্গাপুর স্টিল পিউপলস কো অপারেটিভ কে নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস । তৃনমূলী সন্ত্রাসেই দুর্গাপুর স্টিল পিপলস কো-অপারেটিভ নির্বাচন হলো একতরফা, অভিযোগ বিএমএস আর সিটুর ।২০১২ সালে শেষবার নির্বাচন হয়। তারপর পাঁচ বছর কেটে গেলেও আর নির্বাচন হয়নি দুর্গাপুর স্টিল পিউপলস কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে।  ১২ হাজার গ্রাহক রয়েছে এই ব্যাঙ্কে । ব্যাঙ্কের ৪২টি আসনের নির্বাচন । ২০১২ সালে এই ব্যাঙ্কের নির্তৃবাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৭ সালে মেয়াদ শেষ হবার পর আর নির্বাচন হয়নি। মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের হস্তক্ষেপে ফের এবছর নির্বাচন হচ্ছে। হিন্দুস্তান মজদুর সংঘ (HMS), কংগ্রেস শ্রমিক সংগঠন অনুমোদিত হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়ানকে সঙ্গে নিয়ে অলিখিতভাবে জোট বাঁধে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন অনুমোদিত হিন্দুস্থান স্টিল প্লান্ট মজদুর ইউনিয়ন। হিন্দুস্তান স্টিল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নকে ৬টি আসন, হিন্দুস্থান মজদুর সংঘকে ৩টি আসন এবং তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের হিন্দুস্তান স্টিল প্লান্ট মজদুর ইউনিয়নের ৩৩টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা থাকলেও তারা ৩৫টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করে। যাকে ঘিরেই শুরু হয় নিজেদের মধ্যে চূড়ান্ত দ্বন্দ্ব, হাতাহাতি। চরম উত্তেজনা পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় দুর্গাপুর থানা পুলিশকে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।দুর্গাপুর স্টিল পিউপলস কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ক্ষমতা দখল এখন তৃণমূল কংগ্রেসের সময়ের অপেক্ষা।

error: Content is protected !!