সোমবার,১৩ ই মে ২০২৪
গনেশ চক্রবর্তী , পাণ্ডবেশ্বর : সকাল থেকে এলাকায় ভোট পর্ব চলছে শান্তিপূর্ণ ভাবে। যদিও বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ শাসকদলের লোকজন তাদের বুথে বসতে দিচ্ছে না। হুমকি দিচ্ছে। তাছাড়া কোথায় কোন বড়সড় অপ্রীতিকর ঘটনার খবর নেই। উৎসবের আমেজে ভোট গ্রহণ চলছে গোটা এলাকায় সকাল থেকে। কেবলমাত্র বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হরিপুরে সিনেমা হলের সামনে নাকা চেকিং পয়েন্টে হঠাৎ করে বিজেপি নেতা জীতেন তেওয়ারি ঢুকতে গেলে তাকে আটকায় পুলিশ,গাড়ি ও জীতেন তেওয়ারির বুথে যাবার কাগজপত্র দেখতে চায় পুলিশ।জীতেন তেওয়ারি কাগজপত্র দেখালেও পুলিশ এই কাগজপত্র শুধু গাড়ির,জীতেন তেওয়ারির নয় বলে পথ আটকায়। তাকে এলাকায় ঢুকতে দেয়নি।এই নিয়ে সাময়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।পরে জীতেন তেওয়ারি স্থান ত্যাগ করলে ফের পরিবেশ শান্ত হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সকালে সস্ত্রীক ভোট দিয়েই গোটা এলাকা পরিদর্শন করছেন।কারো কোথাও কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা খোঁজখবর নিচ্ছেন।সে বিরোধী দলের লোকজন হোক বা নিজের দলের লোকজন হোক। সোমবার দুপুরে হঠাৎ করে পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি কর্মীদের শিবিরে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী হঠাৎ ঢুকে পড়ে বিজেপি কর্মীদের কোন অসুবিধা হচ্ছে কিনা খোঁজখবর নেন। বেশকিছু ক্ষন বসেন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি শিবিরে। ঠান্ডা পানীয় জল পান করেন। বিজেপি কর্মীদের ও ঠান্ডা পানীয় জল পান করতে দেন।পরে উপস্থিত সাংবাদিকদের নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী নিজের স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে বলেন আগে আমি আমার এলাকার বাসিন্দাদের বিধায়ক। এলাকার বাসিন্দাদের সুবিধা অসুবিধা খোঁজখবর নেওয়া আমার প্রথম কর্তব্য।সেই কর্তব্য পালন করছি। নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী র এই সৌজন্যতায় স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা সাময়িক হতবাক হলেও খুশির কথা জানান।যদিও অন্যান্য বিরোধীদল গুলি এটি সুচতুর নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর রন কৌশল বলেই মনে করছেন।