বুধবার,২০ মার্চ ২০২৪
ব্যুরো নিউজ , নিউজ বাংলা ডিজিটাল : মঙ্গলবার মধ্যরাতে ফোন করে ডেকে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা পবিত্র বিশ্বাসকে খুন স্থানীয় সুদ কারী শম্ভু দাস বলে অভিযোগ। তৃনমূল কংগ্রেস নেতা পবিত্র বিশ্বাসের দেহ সুদকারবারী শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চারচাকা একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং গাড়ি টিকে পুড়িয়ে দেয় বলে জানা গেছে।গোটা এলাকা থমথমে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। পুলিশ টহল চলছে এলাকায়। ঘটনার পর অভিযোগ সুদকারবারী শম্ভু দাস ও উধাও এলাকা থেকে। পুলিশ পবিত্র বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্ত শম্ভু দাসকে ধরতে জোর তল্লাশি শুরু করেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতের দুর্গাপুরের কাঁকসার উত্তর পাড়ার ঘটনা বলে জানা গেছে।মৃত পবিত্র বিশ্বাসের পরিবারের সদস্যদের দাবি মঙ্গলবার রাতে পবিত্র বিশ্বাসকে সুদকারবারী শম্ভু দাস ফোন করে ডাকে।হয়তো সুদে টাকা নিয়েছিল পবিত্র । সময় মতো ধার শোধ করতে পারেনি।তাই দুজনের মধ্যে সমস্যা চলছিল হয়তো ।মঙ্গলবার রাতে শম্ভু দাস ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় তার বাড়িতে তারপর খুব মারধর করে পবিত্রকে। পবিত্র বাড়ি থেকে বের হবার কিছুক্ষণ পর ফোন করে পবিত্র বিপদে পড়ার কথা জানায় বাড়িতে। পবিত্র বিশ্বাসের মামা সুনীল মন্ডল বলেন অনেক খোঁজাখুঁজি করে শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে গুরুতর আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি পবিত্র কে। এরপর স্থানীয় মানুষের সাহায্য নিয়ে রাজবাঁধের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পবিত্র কে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। স্থানীয় মানুষের দাবি হয়তো শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে যখন পড়ে ছিল তখন ই পবিত্র মারা গেছে মনে হয়েছিল আমাদের। কাঁকসার এসিপি সুমন জসোয়াল বলেন গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।এখন ই বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।সব দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত চলছে। স্থানীয় মানুষের দাবি এই শম্ভু দাসের বাড়বাড়ন্ত খুব গোপাল পুর এলাকায়।চড়া সুদে ঋণ দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক এই শম্ভু দাস। এলাকায় প্রচুর প্রতিপত্তি তার।চড়া সুদের টাকা সময় মতো দিতে না পারলে ভুক্তভোগীদের উপর চরম মানসিক অত্যাচার করে শম্ভু। প্রতিমাসে শুরু হয় তার সুদ আদায় এর সময় মানসিক শারীরিক নির্যাতন।কত মানুষকে সর্বশান্ত করেছে এই শম্ভু তা গ্রামের সবাই জানে।কেউ সুদ সঠিক সময়ে দিতে না পারলে তার স্ত্রী সহ বাড়ির মহিলাদের ও শম্ভু ছাড়ে না বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন এত তার প্রতিপত্তি এলাকায়।এত ক্ষমতার অধিকারী শম্ভু দাসের পিছনে কোন বড় মাথা রয়েছে তার সদুত্তর দিতে পারেননি এলাকার কেউ। সেই কারনেই সুদকারবারী শম্ভু দাসের উপর দীর্ঘদিন ধরেই স্থানীয় মানুষের চরম ক্ষোভ ছিল । এরপর মঙ্গলবার রাতে পবিত্র বিশ্বাসের গুরুতর আহত দেহ সুদকারবারী শম্ভু দাসের বাড়ির সামনে পড়ে থাকতে দেখে ঘৃতাহুতি পড়ে।স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে সুদ কারবারী শম্ভু দাসের বাড়ি ও গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।