২৯শে জানুয়ারি ২০২৪
ব্যুরো নিউজ,নিউজ বাংলা ডিজিটাল : ২৫ থেকে ২৮ শে জানুয়ারি দুর্গাপুরের বিধান নগরের ক্লাব স্যান্টোষের মাঠে এক গুচ্ছ সামাজিক কর্মসূচি কে কেন্দ্র করে চারদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ‘কথা ও কাহিনী ‘ নামের দুর্গাপুর একটি জনপ্রিয় সমাজসেবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। সংগঠনটির কর্ণধার হৃদয় সাঁই ও জয়ীতা সাঁই । এবছর চতুর্থ বর্ষে পড়লো কথা কাহিনীর এই অনুষ্ঠান।শীত মরসূমের পিঠে পুলি উৎসবের পাশাপাশি এই সমাজসেবী সংগঠন পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানে যেসব সামাজিক কর্মসূচি পালন করা হয় তারমধ্যে হলো দুর্গাপুরের আরেক স্বেচ্ছায় সংগঠন ছায়াসূর্যর দুঃস্থ বাচ্চাদের হাতে বই এর ব্যাগ তুলে দেওয়া হয় । স্থানীয় বয়স্ক একশ দিনের কাজের লোক , গার্বেজ ক্লিনার ও সুইপার দের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেওয়া হয় । এছাড়াও দুর্গাপুরের জেলখানার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের জীবনের মুল স্রোতে ফেরানোর লক্ষ্যে উৎসাহ প্রদান ও ওদেরদিয়ে মঞ্চে অনুষ্ঠান করানো হয় এবং ওদের হাতে ও শীতবস্ত্র তুলে দেওয়া হয় । তাছাড়া এই অনুষ্ঠানে সমাজের বিশিষ্ট মানুষ দের সম্মানিত করা হয়। দুর্গাপুরের বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পীরা একের পর এক মনমাতানো গানে অনুষ্ঠানে কে অন্য মাত্রা দেন।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ডঃ সৌরভ চ্যাটার্জি, দুর্গাপুর নগর নিগমের মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় , দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক লক্ষণ গড়ুই , ডাঃ ছবি নন্দী , বিশিষ্ট সমাজসেবী অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী ওআরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন স্বনামধন্য বাচিক শিল্পী কাজল সুর । দুর্গাপুরের প্রায় ৬০ টি সাংস্কৃতিক সংগঠন উপস্থিত ছিলেন ও অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন । কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার বিশিষ্ট শ্রুতি নাটক ও বাচিক শিল্পীরা অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন । ছিলেন কুচবিহার থেকে স্বনামধন্য নৃত্য শিল্পী সব্যসাচী কর্মকার ও সহযোগী শিল্পীরা। প্রতিদিন মুল অনুষ্ঠান একটি করে বিষয় করে দেওয়া হয়। প্রথম দিন ছিলো রবীন্দ্র সংগীত ও রবীন্দ্র কবিতার যুগলবন্দী। দুর্গাপুরের বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পীদের সঙ্গে কথা ও কাহিনী দুর্গাপুরের আবৃত্তি শিল্পীরা আবৃত্তি পরিবেশন করেন। দ্বিতীয় দিন ছিলো শিল্পী জুটির শৈল্পিক যুগলবন্দী। দুর্গাপুরের সাতটি শিল্পী জুটি তাদের শিল্প নৈপুণ্য তুলে ধরেন । ২৭ শে জানুয়ারি কন্ঠ নাটক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনান্য অনুষ্ঠানের পাশাপাশি কলকতা সহ বিভিন্ন জেলার ৮টি শ্রুতি নাটক অনুষ্ঠিত হয়। শেষ দিন ছিলো শাস্ত্রীয় সংগীত,নৃত্য ও বাদ্যযন্ত্রের অসাধারণ একটি অনুষ্ঠান যা শ্রোতাদের সুরের মূর্ছনায় আচ্ছন্ন করে রাখে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির, স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, বরিষ্ঠ নাগরিক সম্মাননা, আবৃত্তির গ্ৰুমিং কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।