বৃহস্পতিবার,২১ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
ব্যুরো নিউজ, নিউজ বাংলা ডিজিটাল : সংসদে পাস হয়েছে ঐতিহাসিক মহিলা সংরক্ষণ বিল। যার মাধ্যমে লোকসভা ও রাজ্য বিধানসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য ৩৩% আসন সংরক্ষণ করা হবে। ঐকমত্যের অভাবে ২৭ বছর ধরে ঝুলে ছিল এই বিল। অবশেষে সেই বিল সমর্থন পেয়ে পাশ হল।
নারী শক্তি বন্দন অধিনিয়াম’ নামের এই বিলটি লোকসভায় পেশ করেন আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল। আগামীদিনে ডিলিমিটেশন সম্পন্ন হওয়ার পরেই এটি কার্যকর হবে। তাই ২০২৪ সালের পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনের সময় এটি কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই বিল পাস হওয়ার খবরে দেশের মহিলা সমাজ উচ্ছসিত।
খুশির হাওয়া গৃহবধূ থেকে শিক্ষিকা, চিকিৎসক থেকে সমাজের সর্বস্তরের মহিলাদের মধ্যে। দুর্গাপুরেও মহিলাদের কাছ থেকে এই নিয়ে শোনা গেল শোনা গেল নানান প্রতিক্রিয়া। দুর্গাপুরের বেনাচিতির বাসিন্দা স্কুল পড়ুয়া অনিন্দিতা হোম চৌধুরী বলেন আমি একজন স্কুল পড়ুয়া।যদিও আমি মহিলা বিল সংরক্ষণ কিছু বুঝিনা এখনো। তবুও বলবো এবার কিছু হবে আমাদের জন্য এটাই মনে হচ্ছে আমার। আমাদের ন্যায্য অধিকার আমরা পাবো। দুর্গাপুরের এক বেসরকারি ইন্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্রী সুদেষ্ণা রায় বলেন অনেক দিন ধরেই এই বিল পেন্ডিং ছিল।সংসদের কোন কক্ষেই পাশ হয়নি। এতদিন পর হলো সেটা অন্তত । এবার দেখার আমরা কতটা ন্যায্য অধিকার পাই।আর যারা মহিলাদের জন্য সংরক্ষন বিল পাশ করালো তারাই কতটা মহিলাদের সত্য কথা বলার অধিকার দেয় লোকসভা বিধানসভা এবং রাজ্য সভায় সেটাই দেখার। দুর্গাপুর বিধান নগরের বাসিন্দা গৃহবধূ রুপালি শ্যাম বলেন এই বিল পাশ হবার খবরে খুব খুশি হয়েছি। খিড়কি থেকে সিং দুয়ারে মেয়েদের নিজের অধিকার নিজেরাই অর্জন করবে।এই বিল ঐতিহাসিক বিল পাশ হলো। ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রীকে। দুর্গাপুর ক্যয়েরের সদস্যা রাখি ঘোষ বলেন আমি খুব খুশি। দীর্ঘ দিনের পেন্ডিং ছিল এবার মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হলো। যেখানে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে মহিলারা কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। দেশকে সমৃদ্ধ করছে। সেখানে মহিলা সংরক্ষণ বিল মহিলাদের আরো শক্তি জোগাবে। বড় ছোট সব মেয়েদের ও বিভিন্ন সমস্যা বিভিন্ন প্রয়োজন সংসদের সব কক্ষেই আলোচনা হবে , মেয়েদের নিরাপত্তা সম্মান মেয়েদের কাজের অধিকার নিয়ে সংসদে আলোকপাত হবে এটাই ভেবে ভালো লাগছে। এইজন্য রাখি ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রীকে।
ডা: তানিয়া চক্রবর্তী দুর্গাপুর ক্যয়েরের আরেক সদস্যা তিনি বলেন মহিলা সংরক্ষণ বিল মানে মহিলা দের একটা জায়গায় সংরক্ষিত করে রাখা।আমি চাই মহিলারা সংরক্ষিত না হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াক। মহিলারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেদের অধিকার নিজেরাই অর্জন করুক।তানিয়ার বন্ধু সাথীরা ও তানিয়ার সুরেই মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। দুর্গাপুরের আরেক লড়াকু মহিলা প্রাইভেট কার ট্রেনার একটি অনলাইন বেসরকারি সংস্থার বাইক রাইডার টুম্পা দে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ নিয়ে বলেন এটা খুব ভালো খবর মহিলাদের কাছে। আমি ও খুশি এই খবরটি শুনে। দীর্ঘ দিন পর এই বিলটি পাশ হলো। আমি প্রথমেই বলে রাখি আমি মহিলাদের স্বনির্ভর হবার পক্ষপাতি । পর নির্ভরতার আমি পক্ষপাতি নই। আমার মতে এই দেশে মহিলাদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর দরকার। যেহেতু মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ হলো তাই বলবো মহিলাদের শিক্ষা মহিলাদের কাজের অধিকার মহিলাদের নিরাপত্তা মহিলাদের সন্মান সহ মহিলাদের সমস্ত সুবিধা অসুবিধা নিয়ে যদি লোকসভা রাজ্য সভা বিধানসভায় ৩৩% সংরক্ষিত আসনের বলে মহিলাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে সত্যি আলোচনা করা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক মহিলা প্রতিনিধি সঠিক তথ্য দিয়ে মহিলাদের নানা সমস্যা এবং নিশ্চিত নিরাপত্তার দাবিতে তাদের কথা তুলে ধরার অধিকার পান তাহলে এইদেশ অবশ্যই আগামী দিনে পৃথিবীর অন্যতম সেরা দেশে পরিণত হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।