মঙ্গলবার,১৯ শে সেপ্টেম্বর ২০২৩
নিউজ ব্যুরো, নিউজ নিউজ বাংলা : আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের দুর্গাপুরের দপ্তরে বিধ্বংসী আগুন। এই বিধ্বংসী আগুনে দুর্গাপুরবাসী তাদের জমি জমা সংক্রান্ত সমস্ত নথি পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চরম আশঙ্কায় রয়েছেন ।
রাত্রি ১ঃ৩০ মিনিট নাগাদ আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেও সকাল ছয়টা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বাহিনীকে প্রচন্ড বেগ পেতে হয়। দুর্গাপুর অন্ডাল রানীগঞ্জ থেকে ১২ টি দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে।
দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা পীযূষ মজুমদার ঘটনাস্থলে এসে আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, এই ঘটনার পিছনে কোন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে কেননা, বিল্ডিং এর এত নিরাপত্তা রয়েছে চারিদিকে রয়েছে সিসিটিভির বলই, একতলায়, দোতালায় আগুন লাগল না একেবারে আগুন লাগল তিনতলায়। পীযূষ বাবু বলেন, এই ঘটনার পরও শহরের লোকেদের জমি জমা সংক্রান্ত সমস্ত দলিলপত্র খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা সেই নিয়েই সংশয় রয়েছে। আর তাতেই আতঙ্কিত শহরবাসী । পাশাপাশি তিনি বলেন দমকলের সেরকম অত্যাধুনিক ব্যবস্থা নেই। যেখানে ল্যাডারর সাহায্যে উপরে উঠে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। অবশেষে অন্ডাল থেকে একটা ল্যাডার যুক্ত দমকল আনা হয়।
অন্যদিকে সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে রয়েছেন এডিডিএ এর চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানান, আজ মধ্যরাত কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরা দপ্তরের শৌচালয়ের দিক থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখতে পান। এরপরেই হইচই পড়ে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ভবনে। খবর দেওয়া হয় দুর্গাপুরের দমকল বিভাগে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন এডিডিএর চেয়ারম্যান তাপস বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে সকল আধিকারিক ও কর্মীরা। আসেন দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় ও। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতা ক্রমশই বাড়তে থাকে।আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকে। সকাল ৬:৩০ মিনিট নাগাদ শেষ পাওয়া খবরে আগুনের তীব্রতা কমলেও আগুন পুরোপুরি তখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তাপসবাবু আরো জানান, ঠিক কি কারনে আগুন লেগেছে তা এখনই জানা যায়নি। আর ক্ষয়ক্ষতির পরিমানও কত তাও এখনই অনুমান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে জরুরী প্রচুর নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পাশাপাশি তিনি এও বল তাপস বাবু এও জানান এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ এবং সঠিক তদন্ত হবে। তবে এই আগুন লাগার ঘটনার পিছনে কোন অন্তরঘাতের কারণ দেখছেন না তিনি বলে জানান।