জেলার প্রথম একজন সহশিক্ষক শিক্ষারত্ন পুরষ্কার পাচ্ছেন বীরুডিহা হাইস্কুলের সহশিক্ষক সুকুমার রুইদাস

 

 

 

 

সোমবার,৪ ঠা সেপ্টেম্বর ২৩

 ব্যুরো নিউজ,নিউজ বাংলা ডিজিটাল : পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রথম একজন সহ শিক্ষক এবার  রাজ্য সরকারের দেওয়া শিক্ষারত্ন পুরষ্কার পাচ্ছেন। এতদিন প্রধান শিক্ষক দের এই পুরষ্কার দেওয়া হতো।এই প্রথম তার ব্যাতিক্রম হলো।দাবি শিক্ষারত্ন পুরষ্কারের জন্য মনোনীত সহ শিক্ষক সুকুমার রুইদাসের । শিক্ষক দিবসে তিনি এই পুরষ্কার পাবেন।গত ৩০ বছর ধরে কাঁকসার বিরুডিহা হাইস্কুলে শিক্ষকতা করছেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুকুমার রুইদাস।

এই বছর রাজ্য সরকারের দেওয়া শিক্ষারত্ন পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন সুকুমারবাবু।

মঙ্গলবার কলকাতার ধনধান্যে স্টেডিয়াম থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষারত্ন পুরস্কারের মনোনীতদের নাম ঘোষণা করবেন।

তারপরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে মহকুমা শাসকের দপ্তর থেকে জেলার একমাত্র শিক্ষারত্ন পুরস্কারে মনোনীত সুকুমার রুইদাসের হাতে শিক্ষারত্ন পুরস্কার ও মানপত্র তুলে দেবেন জেলাশাসক এস অরুন প্রসাদ।

গত ৩১শে আগস্ট তিনি শিক্ষারত্ন পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন।তাকে এই খবর জানানো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

 

সোমবার বিদ্যালয় খোলার পর সকাল ১১টা টায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতেই তাকে শুভেচ্ছা জানান তার সহকর্মীরা।

সুকুমার বাবুর সহকর্মীরা এই খবর পাওয়ার পরই রীতিমতো তাকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন।

তাদের দাবি জেলার মধ্যে সুকুমার বাবু একজন যোগ্য শিক্ষক।

মানুষ হিসাবে যেমন তিনি অত্যন্ত গুনী মানুষ।

তেমনি সহকর্মীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাগুরু হওয়ার সাথে তিনি স্কুলেও একজন অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

স্কুলে তিনি ভূগোল এবং শরীর শিক্ষা বিষয় নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা শেখানোর পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার প্রতি তিনি উৎসাহ দেন।

স্কুলের পড়ুয়ারা জানিয়েছেন সুকুমার রুইদাসের কাছে লেখাপড়া শিখে বহু ছাত্র-ছাত্রী বর্তমানে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

স্কুলে তিনি শিক্ষক হিসাবে  অত্যন্ত প্রিয়  ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে।

সুকুমার রুইদাস জানিয়েছেন গত ৩১শে আগস্ট তিনি জানতে পারেন যে জেলার মধ্যে তিনি শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছেন।

মঙ্গলবার আসানসোল যাওয়ার জন্য তিনি ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন গত প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি এই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। আর কয়েক মাস পর তিনি অবসর নেবেন। অবসর পাওয়ার আগেই তার এই সম্মান তাকে আলাদা পরিচয় এনে দিয়েছে গোটা এলাকায়।

তিনি জানিয়েছেন এতদিন তিনি দেখে এসেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাই এই ধরনের সম্মান পেয়ে আসতেন। কিন্তু এবার প্রথম সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে তিনি শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়ে সেই সম্মানে সম্মানিত হতে চলেছেন।এটা তার কাছে খুব গর্বের বিষয় বলে তিনি জানান।

error: Content is protected !!