ব্যুরো নিউজ : পশ্চিম বর্ধমান পাওয়ার লিফটিং এন্ড বেঞ্চপ্রেস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩ দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো। দুর্গাপুরের এসবিএসটিসি গ্যারেজ সংলগ্ন সুভাষ ব্যায়ামাগারে ৫ ই এবং ৬ই আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতাটি। পুরুষ ও মহিলা মিলে ৪৬৩ জন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নানা বয়সীরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় শক্তিশালী পুরুষের খেতাব এবং সেরা লিফটার খেতাব অর্জন করেন আলতাব খান। শক্তিশালী মহিলা খেতাব অর্জন করেন রুপা বন্দোপাধ্যায় সেরা লিফটার হন ঝুমা গরাই।এই প্রতিযোগিতাটি স্টেট পাওয়ার লিফটিং এসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে ও পশ্চিম বর্ধমান ফিজিক্যাল কালচার এসোসিয়েশনের সহযোগিতায় এবং সুভাষ ব্যায়ামাগারের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সমগ্র প্রতিযোগিতাটির জন্য যাদের পরিকল্পনা ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাস্তব রুপ পায় তারা হলেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় , আন্তজার্তিক পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় স্বর্ন পদক প্রাপ্ত পাওয়ার লিফটার সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায়, সুভাষ ব্যায়ামাগারের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ গরাই, পশ্চিম বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট ফিজিক্যাল কালচার এসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ তরুণ মুখোপাধ্যায় , এবং সংস্থার আরেক কর্মকর্তা অমল মজুমদার। জানা গেছে এই প্রথম জেলা স্তরে কোন পাওয়ার লিফটিং এবং বেঞ্চ প্রেস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা সম্পূর্ণ ভাবে কম্পিউটার দ্বারা পরিচালিত হলো।
তাছাড়া সফল প্রতিযোগি এবং প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন কারী সকল প্রতিযোগিকে সঙ্গে সঙ্গে ই তাদের পারফরমেন্স অনুযায়ী সার্টিফিকেট ও প্রদান করে দেওয়া হয় যা নজির স্থাপন করেছে। প্রতিযোগিতাটির আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় বলেন অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে সফল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করতে পেরে খুব ভালো লাগছে আমাদের আগামী দিনেও আমরা এই ধরনের প্রতিযোগিতার আরো আয়োজন করবো। সুব্রত বাবু বলেন এই প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবার পর সেই দেখে জেলার ছেলেমেয়েরা প্রতিযোগিতা নিয়ে তাদের এবং পারফরমেন্স নিয়ে ও আরো উৎসাহিত হবে। এই প্রতিযোগিতাটি যার মস্তিষ্কপ্রসূত স্বর্নপদক প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক পাওয়ার লিফটার সীমা দত্ত চট্টোপাধ্যায় বলেন খুব ভালো লাগছে আমরা এতো কম সময়ের মধ্যে এই ধরনের একটা এতোবড় প্রতিযোগিতা করতে পারলাম। ইচ্ছে থাকলেই যে উপায় হয় এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে সব কিছু বাধা অতিক্রম করেও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ভালো কিছু করা যায় সেটা এই প্রতিযোগিতার সফলতাই প্রমাণ করে।সীমাদেবী বলেন এর পর আমরা আরো কিছু পরিকল্পনা করেছি পশ্চিম বর্ধমান জেলার পাওয়ার লিফটিং ও বেঞ্চ প্রেসের জন্য। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা পাওয়া লিফটিং এবং বেঞ্চ প্রেস সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয় এবং জেলা স্তর থেকে রাজ্য আন্তর্জাতিক স্তরে তারা সফল হয় এবং দেশ রাজ্য নিজের শহরকে সমৃদ্ধ করে । আমার রাজ্যের আমার জেলা আমার শহরের ছেলেমেয়েরা যেন আগামী দিনে পাওয়ার লিফটিং এ দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পারে এটাই আমার স্বপ্ন।সীমা বলেন সকলের সহযোগিতা না পেলে কোনভাবেই এতবড় একটা প্রতিযোগিতা আমরা করতে পারতাম না।তাই সবাইকে এই প্রতিযোগিতার সঙ্গে যুক্ত সকলকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সংস্থার আরো তিন কর্মকর্তা বিকাশ গরাই,তরুন মুখোপাধ্যায় এবং অমল মজুমদার ও নুতন প্রজন্মের জন্য একটা সফল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত করতে পেরে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করছেন সেকথা অকপটে স্বীকার করেন।