ডিএসপির জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ প্রশ্ন কার্যত এড়িয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী

ব্যুরো নিউজ :  বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরে এসেও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য করলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।কোনআশার কথা শোনালেন না।বিজেপি সাংসদ এবং স্থানীয় বিজেপির বিধায়কের উপর ই বিষয়টি ছেড়ে কার্যত ডিএসপির জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ নোটিশ বিষয়টি সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন এই বিষয়ে স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়ক যা বলার বলেছেন তাদের মতামত ই আমাদের মতামত। আমি পূর্ন সহযোগিতা করবো। তিনি অবশ্য জোর দিয়ে একটি মাত্র বাক্য এই বিষয়ে ব্যয় করে বলেন উচ্ছেদ হতে দেব না। শুভেন্দু অধিকারীর উচ্ছেদ প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার এই সংবাদ শুনে কার্যত হতাশ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার জমিতে বসবাসকারীরা। বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া এবং বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই বলছেন পূর্নবাসন ছাড়া ডিএসপির জমিতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদ হতে দেবো না অথচ রাজ্যের বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিষয়ে  কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবেন বা কোন আশ্বাস দেবেন তিনি তা একবার ও বললেন না সকলের সামনে। কেন তিনি এড়িয়ে গেলেন এখানেই রহস্য দেখছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার জমিতে বসবাসকারীরা।তিনি রাজ্যের বিরোধী দল নেতা। কেন্দ্রে বিজেপি সরকার।ডিএসপি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা । কেন্দ্রীয় সরকারের জমিতে বসবাসকারীদের বিষয় টিকে নিয়ে  শুভেন্দু অধিকারী কেন উচ্চবাচ্য করলেন না ? এই নিয়ে দুর্গাপুরে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।যদিও এই নিয়ে বিজেপির জেলা নেতৃবৃন্দ বলছেন এটি একটি স্থানীয় সমস্যা।তাই বিরোধী দল নেতা এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকেই কথা বলার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন এবং বিষয় টি কে গুরুত্ব দিয়ে সাংসদ এবং বিধায়কের মতামতের উপর ছেড়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের কল্পতরু মাঠে শুভেন্দু অধিকারী  সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। শুভেন্দু অধিকারী বলেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপোর নির্দেশেই ভোট লুট হয়েছে। মানুষকে‌ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। নাহলে বিজেপি বড় সাফল্য পেতে। শুভেন্দুর দাবি গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮ টি আসন পায় রাজ্যে। এবার ৩৬ টি আসন পাবে।ব্যালট চোর,কয়লা চোর, লোহা চোর বালি চোরের সরকার বলেও কটুক্তি করেন বিরোধী দল নেতা। শুভেন্দু এদিন বলেন কাউকে করনিকের বা স্কুল মাস্টারের চাকরি দিতে হলে নুন্যতম ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে এবং তার জন্য সেই পরিবারের থেকে চারটি মাত্র ভোট পাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পরিবর্তে এখন ৫০০ টাকা করে‌ ৫০ জনকে ভিক্ষে দিচ্ছেন তাতে পঞ্চাশ টা ভোট পাবেন তিনি এই অঙ্ক করছেন।তাই চাকরি হচ্ছে না কারোর। শুভেন্দু এদিন না না করে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের বিদেশ যাওয়া নিয়েও স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে একরাশ প্রশ্ন ছুড়ে দেন। এদিনের শুভেন্দু অধিকারীর জনসভায় প্রচুর বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জমায়েত হয় কল্পতরু মাঠে।এই জনসভা করার অনুমতি দেওয়া কে ঘিরে ডিপিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চরম টানাপোড়েন চলে। শেষমেষ বুধবার বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘড়ুই এর‌ নেতৃত্বে ডিপিএল ঘেরাও হয়। ডিপিএল কর্তৃপক্ষ বুধবার পর্যন্ত কল্পতরু মাঠে জনসভা করার লিখিত অনুমতি দেয়নি শেষমেষ।ডিপিএল কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতেই  বৃহস্পতিবার কল্পতরু মাঠে শুভেন্দু অধিকারীর জনসভা হয় ।

 

error: Content is protected !!