রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আজ অতিবাম নকশালদের আঁতুড় ঘরে পরিনত হয়েছে : সুভাষ সরকার

সোমবার,২১শে আগস্ট ২০২৩

ব্যুরো নিউজ : রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র ্যাগিং এর ঘটনা ঘটছে।রাজ্য সরকার কড়া মনোভাব দেখালে এই ঘটনা ঘটতো না।বাম আমলেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র ্যাগিং এর ঘটনা ঘটেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের নামনা করে বলেন একসময় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অভিজিৎ চক্রবর্তী কড়া নজরদারি শুরু করলে কিছুটা র ্যাগিং বন্ধ হলেও সেইসময় এই সরকারে যারা আছেন তারা অভিজিৎ চক্রবর্তীর সঙ্গেও সহযোগিতা করেনি। দুর্গাপুরের এসে সোমবার একথা বলেন কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সুভাষবাবু এদিন উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আরো বলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগে প্রয়োজনীয় নিয়মে রাজ্যপালের কাছে উপস্থাপনা করছে না।তাই ভাইস চ্যান্সেলর নিয়োগে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।রাজ্য সরকার সুপ্রীম কোর্টে যাচ্ছে কেন ! বিশ্ববিদ্যালয় গুলি অটোনোমাস হওয়া উচিত। সেখানে সেটা হতে দেওয়া হচ্ছে না। উল্টে  রাজ্য সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর নিজেদের ক্ষমতা কায়েম করে রাখতে চায় তাই রাজ্য সরকারের এই উদাসীনতা। বহু বছর ধরে এটা চলছে।বাম আমলেও এই পরিস্থিতি হয়েছে আজ ও হচ্ছে।রাজ্য সরকারের উদাসীনতার ফলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় আজ  অতিবাম , নকশালদের আঁতুড় ঘরে পরিনত হয়েছে। যত প্রোডাক্ট ওখান থেকেই হচ্ছে।ওখানে কোন নিয়ম শৃঙ্খলা নেই। ওখানে স্মারক লিপি দেবার প্রতিযোগিতা চলছে।স্মারক লিপি দিতে গেলেও ওরা কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়েও ঢুকতে দেবে না।  অপরাধ ও  করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরের ছেলেমেয়েরা। আবার কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতেও দেবে না।এটা হয়নাকি।পুলিশ ইচ্ছে করলে সব ঠিক করে দিতে পারে। কিন্তু রাজ্য সরকারের সদিচ্ছার অভাবে পুলিশ কিছু করতে পারছে না। সুভাষবাবু বলেন এই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ টেনে  বলেন বিজেপির জন্য দেশে রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। খুব শীঘ্রই মন্দিরের দ্বার উন্মোচন হবে।অশান্ত কাশ্মীর আজ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তাই আপনারা আজ কাশ্মীরের ডাল লেকে বেড়াতে যেতে পারছেন। বিজেপি এই রাজ্য সরকারে ক্ষমতায় এলেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা ঠিক ফিরিয়ে আনা হবে। সোমবার দুর্গাপুরের স্টিল টাউন শিপের বিজেপির কার্যালয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে এক বৈঠক হয়। বিভিন্ন জেলার বিজেপি নেতৃত্ব বৃন্দ  এই বৈঠকে যোগদান করেন।কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার ও সোমবার এই বৈঠকে যোগদান করেন। সুভাষবাবু এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের সংস্থায় ইডি হানা নিয়েও কটাক্ষ করেন। মাননীয় যুবরাজ ভাইপো এত তাড়াতাড়ি কিভাবে আর্থিক স্বচ্ছল হয়ে গেলেন এবং বাড়িতে এসকেলেটর পর্যন্ত বসালেন ইডি তো এইসব দেখবে।

 

 

 

error: Content is protected !!